মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪

শুধু লিখি না নিজেকে

 মানুষের জন্য প্রেম লিখি

মানুষের জন্য বিচ্ছেদ লিখি

মানুষের জন্য ভাই লিখি

মানুষের জন্য বোন লিখি

মানুষের জন্য মা ও মাটি লিখি

মানুষের জন্য পিতা ও দায়িত্ব লিখি

মানুষের জন্য পুরুষ লিখি

মানুষের জন্য নারী লিখি

মানুষের জন্য ফুল লিখি

মানুষের জন্য ফল লিখি

মানুষের জন্য ঘর লিখি

মানুষের জন্য সংসার লিখি

মানুষের জন্য ধর্ম ও কর্ম লিখি

মানুষের জন্য চাওয়া না পাওয়া লিখি

মানুষের জন্য সবটা লিখি

শুধু লিখি না নিজেকে।


নিজের জন্য প্রেম নাই

নিজের জন্য ঘর নাই

নিজের একটা শখের নারী নাই

অথচ কত নারীরা বলে

কবি আমাকে নিয়ে কবিতা লিখো

কিন্তু কোনো একটা নারী কোনোদিন বলল না

কবি তোমাকে ভালোবাসি

কবি তোমাকেই চাই

কবি তুমি কি হবে আমার

কবির কবিতা সবার হয়

শুধু কবি হয় না কারোর

কবির প্রতি কারোর ভালোবাসা নেই

আছে শুধু তার লেখার প্রতি সহানুভূতি

অথচ কবির বুকে হাহাকার

ভালোবাসা পেতে অসহায়ের মতো

লিখে যায় কবি কতশত কবিতা।

শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

রং বাজারে

 আমি রং বাজারে গিয়া দেখি

চলে দুই-নাম্বারি

যত রঙিন রং আছে।

সাদাকালো রং তাই জীবনে মিশাই।।

সাদাকালো রং ভালো বেসে…

রঙের দুনিয়ায় রঙের মানুষ

হইয়া বেহুশ।

আমার আমার করি করে দুই-নাম্বারি।।

যত রঙিন রং আছে…

রং রং হলুদ রং লাল রং নীল রং।

চোখেতে লাগাইয়া রং

করে যে কত ঢং।।

কতজনে গেছে ফেসে।

রঙের খেলা দেখে হেথায়

অধম নূর ইসলাম বলে তাই।

সাদাকালো রং যার অন্তরে মেশায়।।

মানুষ হয় সে ভবে।

শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

ধার্মিক নয় আগে মানুষ হও

 তোর তো ধর্ম নাই। ধর্ম কী গো ভাই? 

কইলেই কি ধর্ম যায়। ধর্ম তো নয় 

মসজিদ মাদ্রাসার ভেতরে ধর্ষণ নির্যাতন, 

ধর্ম তো নয় মন্দির খুলে আয়োজন, 

ধর্ম তো নয় পূজার নামে চাঁদা, 

ধর্ম তো নয় ভণ্ড হয়ে সাধুর লেবাস পরা, 

ধর্ম তো নয় ইশ্বরকে বিক্রি করে খাওয়া, 

ধর্ম কী গো ভাই? কইলেই কি ধর্ম যায়। 

ধর্ম মানে আমার কাছে সুন্দর চরিত্র, 

ধর্ম মানে আমার কাছে মানবতা ও শান্তির আদর্শ, 

ধর্ম মানে আমার কাছে সব মানুষ একসাথে বাঁচা, 

ধর্ম মানে আমার কাছে নূরে মোহাম্মদের শিক্ষা। 

যে শিক্ষা করলে ধারণ মানুষ হয় না জঙ্গি, 

যে শিক্ষা করলে ধারণ মানুষ হয় না পণ্ডিত, 

যে শিক্ষা করলে ধারণ মানুষ হয় জ্ঞানী, 

সে শিক্ষা করতে ধারণ ধর্মতে নয় মানুষকে মানি। 

তোর তো ধর্ম নাই। ধর্ম কী গো ভাই? 

ধর্ম নিয়ে হিংসা বিদ্বেষ করো 

ধর্মের চেয়ে মানুষ বড়ো মানুষ ধরো। 

জ্ঞানী হও পণ্ডিত হয়ো না 

মাওলা আমার জ্ঞানীকে ভালোবাসে পণ্ডিতকে না।

কইলেই কি ধর্ম যায়। ধর্ম কী গো ভাই? 

কোন গ্রন্থে আছে মানুষ হত্যা করলে ধর্ম বাঁচে? 

সে গ্রন্থ আমি আগুনে পুড়াতে চাই, 

মানুষ হতে আমি এই মানুষকে ভালোবাসি ভাই। 

ধর্ম মানে আমার কাছে সব মানুষ একসাথে বাঁচা, 

ধর্ম মানে আমার কাছে নূরে মোহাম্মদের শিক্ষা। 

শ্রীকৃষ্ণ, গৌতম বুদ্ধ, ঈসা মুসা নূরে মোহাম্মদ 

তারা কি করেছিল হিংসা বিদ্বেষ ধর্ম নিয়ে দ্বন্দ্ব, 

আর তুমি ধর্মের নামে অধর্ম হৃদয়ে করছ ধারণ 

স্বভাবে মানুষ না হয়ে অমানুষের জনম।

চালাই রিকশা

 মাথার ঘাম পায়ে ফেলি 

চোখের জল গামছায় মুছি 

যা ইচ্ছে বলে যান যত খুশি। 

সাহেব আমি চালাই রিকশা 

পাইনা ন্যায্য পয়সা 

মতের অমিল হলে দেন গালি। 

আমিও মানুষ আপনিও মানুষ 

গায়ের রক্ত লাল 

আমি গরীব আপনি ধনী 

এটাই ব্যবধান। 

সাহেব আমি চালাই রিকশা 

পাইনা ন্যায্য পয়সা 

মতের অমিল হলে দেন গালি। 

একবেলা খাই আরেকবেলা অনাহারে যায় 

ঘরে থাকেনা তেল ডাল চাল 

নুন আনতে পান্তা ফুরায়। 

ছেলে মেয়ের মুখে ফোটাতে হাসি 

মাথার ঘাম পায়ে ফেলি 

মতের অমিল হলে মারেন লাথি দেন ঘুষি। 

সাহেব আপনি হলেন ধনী 

আছে গাড়ি বাড়ি 

চাইলে খেতে পারেন চাইনিজ 

গিয়ে ইয়াম্মি। 

আমি চালাই রিকশা 

খাই বোকা ডাকি মামা আব্বা 

মতের অমিল হলে মারেন চড় দেন লাথি 

গরীবের দুঃখ কেউ বোঝেন না। 

ছেলে মেয়েকে করতে মানুষ 

মাথার ঘাম পায়ে ফেলি 

চোখের জল গামছায় মুছি 

যা ইচ্ছে বলে যান যত খুশি। 

মানুষের পূজা করি

 পুরুষ যদি মানুষ হয়ে আঁকতো নারীর দৃশ্য 

নারীর দৃশ্যে খুঁজে পেতো সে মহা এক বিশ্ব। 

নারীতে যে তার জন্ম, নারীতে যে তার মরণ 

জন্ম মরণের ভেদ খুঁজে পেয়ে হতো সে অমর। 

নারী দেয় গায়ে পর্দা পুরুষ তুমি দাও চোখে 

নয়তো তোমারই বোন তোমার হাতে ধর্ষণের শিকার হবে! 

নারী জাতি মা জাতি তুমি পুরুষ পিতা 

নারীকে বানাও দেবী তুমি হও দেবতা। 

কেমন পুরুষ তুমি ভোগবিলাসের জন্য ধরো

যৌন শিকারে এই নারীকে মারো! 

একদিন তোমার মেয়েও হতে পারে অন্যের হতে 

সে কথা কি ভাবো? 

ইতিহাস ফিরে এসে কথা বলে বার-বার 

যৌবন চিরকাল থাকে না যে আর, 

অসময়ের সঙ্গী হয় না যে কেউ 

তোমার পাপে তুমি মরবে 

সেদিন কান্না মোছার তোমার পাশে থাকবেনা যে কেউ। 

নারী যদি দেবী হয় পুরুষ তুমি হও দেবতা, 

সকল নারী পুরুষকে আমি মানুষ বলি না 

স্বভাবে যে সুন্দর তারে দেবতা কিংবা দেবী বলি 

আমি মানুষের পূজা করি।

সোনার দেশে সোনার ছেলে

 প্রতিদিন নারী হয় ধর্ষণ হয় নারী নির্যাতনের শিকার 

সব খবর ছাপা হয় না কাগজের পাতায় 

অনেক খবর রয়ে যায় অজানা 

ধর্ষণ হওয়া নারী ছাড়া কেউ জানে না, 

ভালোবাসার দোহাই দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে 

প্রেমিক নয় প্রতারক নারী জানার পরে গোপনে কাঁদে, 

তোমরা ওদের প্রেমিক বললেও আমি বলি ধর্ষক যে। 

ফেসবুক টাইমলাইনে নারীকে নিরাপত্তা দাও হে 

তোমার ডানে বামে কত নারী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে 

অনেক ধর্ষক আছে ফেসবুকে বন্ধুত্বের ছলে 

অশ্লীল কথা, ভিডিও, পাঠায় তোমার আমার বোনকে, 

জ্ঞানের বাণী দেয়া খুবই সহজ সবাই দিতে জানে 

তোমার দ্বারা নারী নিরাপত্তা পায় কি ভবে?

পতিতালয়ে নারী করে উপার্জন তুমি করো দেহ বিক্রি 

নারী যে মা, সে মাকে তুমি আজও সম্মান করতে পারোনি। 

যে স্বামী যৌতুকের জন্য বউ পিটায় 

সে তো স্বামী নয় লেজ ছাড়া কুকুর হায়, 

যে পুরুষের চোখে নারী মা, নারী বোন 

নারীদেরকে মর্যাদা দিতে জানে তাকেই পুরুষ বলে, 

জ্ঞানের বাণী ধর্মের বাণী সবাই দিতে জানি 

পুরুষ হয়ে নারীর জন্য কতটুকু করি? 

যেখানে তোমার জন্ম নাহি যদি বোঝো তার মর্ম 

কিসের মানুষ তুমি! ‘হে সোনার ছেলে মায়ের সেবাই ধর্ম। 

সোনার দেশে অমানুষের হয়েছে জন্ম 

অর্থ আর ক্ষমতার জোরে মনগড়া ধর্ম, 

নারী ধর্ষণ, শিশু নির্যাতন, নেই কঠিন আইন সোনার দেশে 

কেমন মা তুমি? তোমার দেশে আমার বোন হারায় মানইজ্জত যে, 

বাংলার বীরাঙ্গনা নারীরা যদি আসে ফিরে 

তোমার হয়ে করবে বিচার ধর্ষিতা নারীদের পক্ষে। 

ধর্ষিতা মেয়ের বাবার নামের জায়গায় বঙ্গবন্ধুর নাম 

ধর্ষিতা মেয়ের ভাইয়ের নামের জায়গায় লিখে দিও আমি অধমের নাম, 

ভাই হয়ে করতে পারিনি আমার বোনের সম্মান রক্ষা 

মাথা উঁচু করে বোনের সামনে দাঁড়াতে পারিনি হে খোদা, 

নারীর অপমানে যদি না কাঁদে তোর মন, 

কিসের মানুষ কিসের পুরুষ তুই অমানুষ একজন! 

১৯৭১ এ আমি গর্বিত বাংলাদেশ 

২০২০ এ আমি লজ্জিত বাংলাদেশ। 

সোনার দেশে অমানুষের হয়েছে জন্ম 

অর্থ আর ক্ষমতার জোরে মনগড়া ধর্ম, 

জ্ঞানের বাণী সবাই দিতে জানে 

মানুষ হয়ে মানুষের উপকার করে ক’জনে? 

প্রতিদিন নারী হয় ধর্ষণ হয় নারী নির্যাতনের শিকার 

সব খবর ছাপা হয় না কাগজের পাতায় 

অনেক খবর রয়ে যায় অজানা 

ধর্ষণ হওয়া নারী ছাড়া কেউ জানে না, 

ভালোবাসার দোহাই দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে 

প্রেমিক নয় প্রতারক নারী জানার পরে গোপনে কাঁদে, 

তোমরা ওদের প্রেমিক বললেও আমি বলি ধর্ষক যে। 

কিসের পুরুষ তুমি! তোমার দ্বারা নিরাপদে যদি না থাকে নারী! 

নারীকে যে মর্যাদা দিতে জানে তাকেই মানুষ বলে, 

তুমি মানুষ হও সোনার দেশে সোনার ছেলে।

জ্বলতে জ্বলতে নিভে যাই আমি

 জ্বলতে জ্বলতে নিভে যাই আমি 

নিভে গিয়ে আবার জ্বলে উঠি 

তোমাকে পাবার আশায়, 

আমি মরণের পথে হেঁটে গিয়েছি মরণের ঘরে 

মরণকে সাথে নিয়ে এসেছি তোমার তরে। 

তোমাকে পাবার আশায় 

জ্বলতে জ্বলতে নিভে যাই আমি 

মরণের পথে হেঁটে যাই আমি মরণের ঘরে, 

আমারে আমি পুড়িয়ে করি ছাঁই 

তোমাকে পাবার আশায়। 

আমার মরণ হয় তোমার ঘরে 

আমার জন্ম হয় তোমার তরে, 

আমি মরে গিয়ে আবার ফিরি 

তোমাকে পাবার আশায়। 

তোমার দৃষ্টির সীমানা যায় যতদূর 

আমার ঠিকানা পাবে নই আমি ততদূর, 

তোমাকে তুমি পাবে আমার হৃদয় ঘরে 

মরণকে সাথে নিয়ে এসেছি তোমার তরে। 

জ্বলতে জ্বলতে নিভে যাই 

আমি মরণের পথে হেঁটে যাই, 

তোমাকে পাবার আশায় 

শুধুই তোমাকে পাবার আশায়।

ভিক্ষুক নজিমুদ্দিন

 ভিক্ষুক নজিমুদ্দিন বুঝলো তুমি বুঝলা না 

মনুষ্যত্ব নাই যার তাকে মানুষ বলে না। 

কী হবে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে 

দুনিয়ার হিসাব নিকাশ করো যদি নামাজে। 

কাঙ্গাল মেরে জাঙ্গাল দিয়ে সাজো তুমি হাজি 

নাই তোমার মনুষ্যত্ব স্বভাব চরিত্রে পাজি। 

কী হবে এক মাস রোজা রেখে 

বাকি এগারো মাস মানুষের ক্ষতি করলে। 

মনুষ্যত্ব নাই যার তাকে মানুষ বলে না 

ভিক্ষুক নজিমুদ্দিন বুঝলো তুমি বুঝলা না। 

হারাম খেলে জীবনভর বললে মিথ্যে কথা 

পিতা মাতার মনে কষ্ট দিলে, দিলে তুমি ব্যথা। 

যে আশায় যাও তুমি মসজিদ ঘরে 

মানুষের মনে আঘাত দিয়ে, ক্ষমা পাবে না রোজহাশরে। 

সকল ইবাদত আসবে কাজে, সুন্দর চরিত্র হৃদয়ে রবে। 

যতক্ষণ আছে দেহে প্রাণ করো মানুষের কল্যাণ 

এই মানুষকে ভালোবাসো বেঁচে আছো যতক্ষণ। 

মরণে নাই ভয় তোমার হবে জয়, 

মানুষের কল্যাণে লড়ো খুশি হবে সাঁই রাব্বানা। 

মনুষ্যত্ব নাই যার তাকে মানুষ বলে না।

কবি নজরুল আশেকে রাসূল

 ছন্দে ছন্দে লিখেছে 

প্রশংসিত মোহাম্মদী ফুল, 

কবি নজরুল আশেকে রাসূল। 

হৃদয় ছিলো তাঁর 

মোহাম্মদী প্রেমে ব্যাকুল, 

কবি নজরুল আশেকে রাসূল। 

আযানের ধ্বনি শুনিতে কানে 

মোহাম্মদী প্রেমে- 

হযরত বেলাল হইতো বিভোর, 

কবি নজরুল ছিলো অবিকল। 

আযানের ধ্বনি শুনিয়া কানে 

বলিলো করিও দাফন- 

মোরে মসজিদ প্রাঙ্গণে, 

কবি নজরুল আশেকে রাসূল। 

যুদ্ধের মাঠে সাহাবাগণ 

করেছে যুদ্ধ তলোয়ার নিয়ে হাতে, 

এজিদের বিরুদ্ধে!

কবি নজরুল 

করেছে যুদ্ধ কাগজ কলমে, 

কবি নজরুল আশেকে রাসূল। 

কবি নজরুল মোহাম্মদী প্রেমে 

লিখেছে হাজারো কবিতা, 

তুলে ধরেছে কারবালার 

সত্য ঘটনা! 

বলেছে মানবতার কথা, 

কবি নজরুল আশেকে রাসূল 

আশেকে রাসূল।

মনের ঘরে

 -১

তোমাকে আমি আমার চিন্তা থেকে সরাতে চেয়েছিলাম 

এখন দেখি তুমি আমার রক্তে 

তোমাকে আমি আমার রক্ত থেকে সরাতে চেয়েছিলাম 

এখন দেখি তুমি আমার হৃদয়ে 

তোমাকে আমি আমার হৃদয় থেকে সরাতে চেয়েছিলাম 

এখন দেখি তুমি বিহীন আমি লাশ। 


-২ 

তুমি বন্ধু থাকো আমায় আমাতে মিশে 

বাসি ভালো বাসি তোমায় দুঃখে যাই হেসে 

তুমি বন্ধু আঁধারে আলোর প্রদীপ

বাসি ভালো বাসি তোমায় প্রিয় 

তুমি আমার ভালোবাসার স্বরূপ।

হে প্রিয়া

 তোমা হতে আমি 

আমা হতে তুমি। 

তুমি থাকো চিন্তায় 

তুমি থাকো ধ্যানে 

তুমি থাকো মনে 

তুমি থাকো জ্ঞানে, 

তুমি আমারি কথায় 

তুমি আমারি ব্যথায় 

তুমি বিহীন ঠিকানা আমারি চিতায়। 

হে প্রিয়া 

ব্যাকুল হয়েছি তোমারি প্রেমেতে পড়িয়া। 

তুমি নিঃশ্বাসে 

তুমি বিশ্বাসে 

তুমি রক্তে 

তোমারি নাম জপি প্রতি অক্তে।

লেজ ছাড়া কুকুর

দেশকে যদি এতোই ভালোবাসেন দূর্নীতি ক্যান করেন 

দেশের মানুষকে যদি এতোই ভালোবাসেন তাদের হক ক্যান মারেন 

দেশ আর দেশের মানুষকে যদি এতোই ভালোবাসেন 

দেশের সম্পদ বিদেশে ক্যান জমা রাখেন? 

বঙ্গবন্ধুর বচন ‘সবাই পেয়েছে সোনারখনি, আমি পেয়েছি চোরেরখনি’ মিথ্যা নহে 

সোনার এই বাংলাতে মানুষের ঘরে অমানুষের জন্ম হয়েছে! 

নারী তুমি মানুষ বলো কারে 

মানুষ আমি খুঁজিয়া বেড়াই সকলের দুয়ারে। 

ফেসবুকে ধর্মের বাণী, সকলে দেখি সাধু দরবেশ জ্ঞানী 

নিজ স্বার্থে একবিন্দু আঘাত পরলেই জ্ঞানী হয়ে ওঠে হিংস্র প্রাণী। 

হে নারী, 

পুরুষ বলেই পুরুষকে তুমি দেবতা বানিও না, 

পুরুষ যদি মানুষ হয় 

তারে তুমি দেবতা বানাও 

তুমি হও দেবী। 

আমি মানবের যেখানে আমার জন্ম 

নাহি যদি বুঝি তার মর্ম, 

তারে তুমি মানুষ বলিও না। 

হে নারী, 

পুরুষ বলেই পুরুষকে তুমি দেবতা বানিও না, 

দেবতার বিশেষ গুণ থাকে 

সে নারীর মান বুঝে। 

হে নারী, 

খুব সহজে এই সমাজে জ্ঞানের বাণী তুমি পাবে 

প্রেমিক পাবে না ধর্ষিতা হবে! 

তুমি ঘরে চুড়ি পরে বসে থেকো না আর, 

হে নারী, 

তুমি দেবী হও 

পৃথিবীটাকে মানুষের করো 

নারী হয়ে নারীর জন্য লড়ো। 

আমার বোন নয় কোনো পণ্য 

মানুষ হয়ে স্বাধীন ভাবে বাঁচতে হয়েছে তার জন্ম, 

নারী আমার মা 

নারী আমার বোন, 

এই নারী আমার দেবী 

নারীর পূজা আমি করি। 

যাদের চিন্তায় নারী মানেই বাজারের পণ্য 

বুঝে নিতে হবে অমানুষের হয়েছে জন্ম। 

নারীর চরণতলে দেখেছি স্বর্গ 

নারীর সেবাতে আমার হয় ধর্ম। 

দেশকে যদি এতোই ভালোবাসেন দূর্নীতি ক্যান করেন 

দেশের মানুষকে যদি এতোই ভালোবাসেন তাদের হক ক্যান মারেন 

দেশ আর দেশের মানুষকে যদি এতোই ভালোবাসেন 

দেশের সম্পদ বিদেশে ক্যান জমা রাখেন? 

বঙ্গবন্ধুর বচন ‘সবাই পেয়েছে সোনারখনি, আমি পেয়েছি চোরেরখনি’ মিথ্যা নহে 

সোনার এই বাংলাতে মানুষের ঘরে অমানুষের জন্ম হয়েছে! 

দূর্নীতি, নারী ধর্ষণ, শিশু নির্যাতন 

সুযোগ পেলেই খাচ্ছে মেরে অন্যের ধন। 

ধর্মের নামে ব্যবসা 

টকশোতে বসে নীতি কথা, 

গরীবের হক মেরে খেয়ে ধনী হয় কত ব্যাটা। 

বঙ্গবন্ধু পারেনি পারেনি জিয়া 

এই জাতিকে বেসে ভালো মন উজার করিয়া, 

এরশাদ নয় বছর করে শাসন 

পায়নি এই জাতির মন, 

বলো খালেদা বলো হাসিনা 

এই জাতির স্বার্থে আঘাত পরলেই রাষ্ট্রপ্রধানের করে মৃত্যু কামনা!

দোষ তো নয় রাষ্ট্রপ্রধানের দোষ তো নয় দেশের 

দোষ তো আমাদের চরিত্রে। 

মানবরূপে দানব আমরা লেজ ছাড়া কুকুর 

গৃহপালিত পশু তার মনিবকে চেনে আর আমরা সৃষ্টির সেরা হয়ে চিনি না প্রভু।

পাইনি প্রেম

 আমি প্রেম দেখেছি প্রেম পেয়েছি গোলাপের মাঝে 

পেয়েছি প্রেম চিঠির ডাকবাক্সে, 

পেয়েছি প্রেম দেখেছি প্রেম তোমার শাড়িতে 

আমি প্রেম দেখেছি তোমার খোঁপাতে, 

পেয়েছি প্রেম তোমার মুখেতে 

দেখেছি প্রেম তোমার চোখেতে 

আমি পেয়েছি প্রেম তোমার হাসিতে, 

পেয়েছি প্রেম দেখেছি প্রেম 

পাইনি শুধু প্রেম তোমার অন্তরে 

তোমার অন্তরে।

ইচ্ছে আমার ছিলো

 ইচ্ছে আমার ছিলো অনেক ইচ্ছে আমার ছিলো 

মানুষকে ভালোবাসতে ইচ্ছে আমার ছিলো। 

ইচ্ছে আমার ছিলো অনেক ইচ্ছে আমার ছিলো 

কিভাবে মানুষকে ভালোবাসতে হয় নাহি জানা হলো। 

ইচ্ছে আমার ছিলো অনেক ইচ্ছে আমার ছিলো 

মানুষকে ভালোবাসতে ইচ্ছে আমার ছিলো। 

বললে ভালোবাসার কথা দেয় মানুষে প্রাণে ব্যথা 

বুঝে না মনের কথা স্বার্থের কাছে বেচে মাথা। 

ইচ্ছে আমার ছিলো অনেক ইচ্ছে আমার ছিলো 

মানুষকে ভালোবাসতে ইচ্ছে আমার ছিলো। 

মানুষ নাকি খারাপ মানুষ নাকি ভালো 

খারাপ ভালোর দুনিয়াটা নাহি চেনা হলো

ইচ্ছে আমার ছিলো অনেক ইচ্ছে আমার ছিলো।

পৃথিবী মানুষের হোক

 আম গাছেতে আম ধরে না ধরে এখন জাম 

নিজের কাছে নিজে বন্ধু অচেনা রইলাম, 

কাঁঠাল গাছেতে কাঁঠাল ধরে না ধরে এখন কলা 

পাঠ্যপুস্তক পড়লে তুমি মানুষ হইলে না। 

তোমার বন্ধু নিজের একটা পরিচয় আছে এই সমাজে 

তৈরি করতে পেরেছ কী নাকি ডুবে আছো আঁধারে? 

মনে থাকা যত ধাঁধা ভেঙে ফেলো আজ 

জড়িয়ে থাকা পায়ের শিকল খোলে ফেলো আজ, 

যুদ্ধ করে মুক্ত করো তুমি তোমাকে 

আম গাছেতে আম হবে জাম গাছেতে জাম, লক্ষ্য যেন তাই থাকে। 

সাড়ে তিন হাত দেহ তোমার 

ষড়রিপুর হাত থেকে মুক্ত করো, 

মানুষ হয়ে মানুষের জন্য লড়ো। 

তুমিই পারবে রোপণ করতে 

আম গাছেতে আম জাম গাছেতে জাম। 

মানুষ হয়ে মানুষের জন্য লড়ো 

পৃথিবী মানুষের হোক। 

পাঠ্যপুস্তক পড়লেই মানুষ হওয়া যায় না 

পরিবারের শিক্ষাই বড়ো শিক্ষা, তা করো হৃদয়ে ধারণ। 

মানুষ হয়ে মানুষের সাথে ভালো আচরণ করো 

মানুষ হয়ে মানুষের জন্য ভালো কিছু করো, 

মানুষ হয়ে মানুষের জন্য লড়ো।

তোমার দুনিয়া

 এই তোমার দুনিয়ারে দয়াল 

এই তোমার দুনিয়া 

স্বার্থের জন্য আপন মানুষ 

যা ছাড়িয়া, 

এই তোমার দুনিয়ারে দয়াল 

এই তোমার দুনিয়া। 

সুখে থাকার লাগি 

কতজনে কাঁদে 

সুখে থাকলে কি আর 

তোমারে ডাকে, 

এই তোমার দুনিয়ারে দয়াল 

এই তোমার দুনিয়া। 

তুমি কোথায় আমি কোথায় 

না খুঁজিলাম 

না বুঝিয়া হিসাব নিকাশ 

ভুল অংক করিলাম, 

এই তোমার দুনিয়ারে দয়াল 

এই তোমার দুনিয়া। 

মরে গেলে পড়ে থাকে 

মাটির উপরে 

বাড়ি গাড়ি সবই রেখে 

যায় কবরে, 

এই তোমার দুনিয়ারে দয়াল 

এই তোমার দুনিয়া। 

জানে সবাই মানে কজন 

হবে যে একদিন মরণ 

সোজা হয় না পাপী মন, 

এই তোমার দুনিয়ারে দয়াল 

এই তোমার দুনিয়া।

কঠিন কাল

 এখানে মরে ওখানে মরে 

ঘরে মরে ঘরের বাহিরে মরে, 

সেনাবাহিনী মরে পুলিশের গুলিতে 

লেবাননে মরে মানুষ বিস্ফোরণে, 

ট্রলার ডুবে মরে মানুষ 

তবু তোমার নেই হুঁশ। 

মসজিদ ভেঙে পাবে কি ভগবান 

মন্দির ভেঙে আল্লা?

জাত ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষ ঘটাও 

বামন পণ্ডিত মোল্লা। 

মানুষ তুমি মানুষ হয়ে বেঁচে মরো 

শুনেছি মানুষের মাঝে ইশ্বর থাকে তুমি মানুষ ধরো। 

মানুষ বেঁচে থাকা কঠিন হয়েছে এই কালে 

তোমরা আছো মজে হিংসা অহংকারে, 

মহামারিতে মানুষ মরে দেশে দেশের বাহিরে 

বেঁচে আছো তুমি, শুকরিয়া আদায় করো প্রভুর ধারে। 

চারিদিকে মৃত্যুর খবর, নেই তোমার হুঁশ 

এখানে মরে ওখানে মরে মরে কত মানুষ। 

চোরদের মুখে মধুর কথা, বিক্রি হয় মাথা 

কে দেয় ঘুচে কার দুঃখ ব্যথা? 

দূর্নীতি করে বাড়ি গাড়ি গড়ে 

যে যেমনে পায়, খায় নিজের মতো করে 

মরে গেলে কী খাবে মাটির ঘরে? 

সৎ ব্যক্তির হাতে হাতকড়া পরায় রে 

মরে মরে আজ মানুষের আদর্শ ওরে! 

মানুষ হয়ে বেঁচে থাকা কঠিন এই কালে। 

ভণ্ডরা পরেছে ধার্মিকের লেবাস 

দেখলাম বাংলা জুড়ে!

বৃষ্টি মানে আমার কাছে

 বৃষ্টি মানে আমার কাছে নয়তো গরম খিচুড়ি

বৃষ্টি মানে আমার কাছে নয়তো গোস্তো ভূনা কিংবা খাসি। 

বৃষ্টি হলে তোমাদের হৃদয়ে রঙ ধরে 

নানা বাহারের খাবার তোমাদের চুলায় চড়ে 

বৃষ্টি হলে ছুটে যাও বাড়ির ছাদে 

আনন্দে ভিজে গাও গান আয় বৃষ্টি ঝেপে, 

বৃষ্টি হলে ভালোবাসার মানুষের জন্য লিখো কবিতা 

টাইমলাইনে পোস্ট দাও রোমান্টিক রোমান্টিক কথা 

বৃষ্টি হলে পেয়ে যাও পৃথিবীর সব সুখ 

আমার কাছে বৃষ্টি মানে দুখ আর দুখ। 

বৃষ্টি হলে মনে পড়ে হৃদয়ে যাদের ব্যথা 

ঘরহীন ফুটপাতে ঘর বানিয়ে থাকা সে মানুষগুলোর কথা 

মনে পড়ে আমার দিন আনে দিন খায় 

রিকশাচালক ইদ্রিস ভাইয়ের কথা, 

চাইলে সে ভিজতে পারে না জ্বরের ভয়ে বৃষ্টিতে 

ঔষধ তার খেতে হয় নিয়মিত অনেক রোগ গায়ে। 

বৃষ্টি হলে তোমাদের হৃদয়ে সুখ আর সুখ 

খবর কি কেউ নিয়েছ এই মানুষগুলোর হৃদয়ে কত দুখ?

ঢাকার শহর পানিতে তলিয়ে যায় যখন 

ফুটপাতে থাকা মানুষগুলো কী খায়? কোথায় থাকে তখন! 

গ্রামগঞ্জে বন্যায় যে মানুষগুলো ভাসে 

তাদের দুঃখ সবাই বুঝে না, অনেকে দেখি হাসে 

বিদ্যুত ছাড়া থাকা যায় পানির ওপর নয় 

পানিতে থাকা মানুষগুলোর জীবন অনেক বেদনাময়। 

বৃষ্টি আর বন্যা আমার ভালো চায় না 

এই মানুষগুলোর জন্য হৃদয়ে জমেছে অনেক কান্না, 

বৃষ্টি হলে তোমাদের হৃদয়ে রঙ ধরে 

আকাশে মেঘ দেখলে এই মানুষগুলোর জন্য আমার হৃদয় পুড়ে।

ইছামতি নদীর বাচ্চু মাঝি

 রূপে সে রূপবতী, চোখে চশমা ঠোঁটে লিপস্টিক মুখে হাসি 

কেউ কেউ ডাকে আপা, 

বুদ্ধির অভাবে নিজের স্বভাবে ধরা পড়েছে চাপা। 

টকশোয়ে বসে নীতি কথা 

ধান্দা আর দূর্নীতি করে আজ ধনী সে ব্যাটা, 

আছে সেলফি তার সাথে 

বাংলার বহু মানি লোকের। 

দোষ কি সব ইছামতি নদীর বাচ্চু মাঝির? 

আচ্ছা পরিদর্শক মাহফুজুর রহমানের মেয়ে ঐশীর খবর কি?

ফেসবুকে চিন্তাবিদ আর পণ্ডিতরা কথা কয় টিপে লিখে 

ক্রসফায়ার কিংবা দে ফাঁসি দে। 

আমি শালার কলুরবলদ কিছুই না পারি 

চোখ আছে দেখি, কান আছে শুনি 

মুখে তালা মেইড ইন চায়না। 

আমার সোনার বাংলাদেশে 

বাগান তৈরি করতে খরচ হয় 

দুইকোটি চব্বিশ লক্ষ টাকা রে! 

এই দেশে সবাই সাধু

চুরি হয় কৃষকের লক্ষ টাকার কদু, 

সম্মানিত ব্যক্তির সম্মান নাই 

দূর্নীতিবাজ চড়ে হেলিকপ্টারে ভাই। 

বাংলার আইন কি এমন করা যায় না? 

দূর্নীতিবাজদের অর্থ সম্পদ গরীবদেরকে দিলে খারাপ হয় না। 

রূপে সে রূপবতী, চোখে চশমা ঠোঁটে লিপস্টিক মুখে হাসি 

অমন মেয়ে বিয়ে করা দোষের কিছু না।

বাঙালির রূপের নাই যে শেষ

 ধনী হয় আরও ধনী 

গরীবের মাথায় দিয়ে বারি, 

অযোগ্যরা যোগ্য চেয়ারে 

যোগ্য মানুষ পথে ঘুরে, 

অর্থ আর ক্ষমতার জোরে 

দূর্নীতি কতজনে করে, 

বাঙালির রূপের নাই যে শেষ 

যে যেমনে পারে লুটে খায় সোনার বাংলাদেশ। 

মিথ্যা বলা মহা পাপ 

বলে দিছে মাস্টার সাব, 

পাপী চোখে যা দেখি 

মুখে আমরা তা না বলি, 

বঙ্গবন্ধুর হয়েছে মরণ 

গরীবের পক্ষে কথা বলার কারণ, 

বাঙালির রূপের নাই যে শেষ 

যে যেমনে পারে লুটে খায় সোনার বাংলাদেশ। 

বনের হাতি জানে এই মানুষের কথা 

ডলফিনের হৃদয়ে জমে আছে বহু ব্যথা, 

পাপী মুখে কি আর বলি 

মানুষ গেছে অমানুষ হয়ে দু’চোখেতে দেখি, 

বাঙালির রূপের নাই যে শেষ 

যে যেমনে পারে লুটে খায় সোনার বাংলাদেশ। 

উচিত কথা বললে আমি হই দোষী 

তোমাদের আদালতে দাও আমারে ফাঁসি, 

কাগজ কলম কেড়ে নিয়ে 

জেলে নেও ভরে, 

মানুষের কথা লিখলে 

ঠিকানা হয় কবরে, 

বাঙালির রূপের নাই যে শেষ 

যে যেমনে পারে লুটে খায় সোনার বাংলাদেশ।

মানুষ হওয়া খুবই সহজ

 তুমি যদি মানুষ হতে চাও 

আগে নিজেকে করো শুদ্ধ, চাওয়া পাওয়াকে বিসর্জন দাও। 

মানুষ হওয়া খুবই সহজ 

দমন করো ষড়রিপু স্বভাব চরিত্রে হও সরল। 

মানুষ হয়েছে যারা এই পৃথিবীতে 

সবাই কেঁদেছে এই মানুষের তরে। 

এই মানুষে হয় নিকৃষ্ট

এই মানুষে হয় শ্রেষ্ঠ। 

মানুষ যদি হতে চাও 

নিজেকে মানুষের তরে বিসর্জন দাও। 

নয় হিংসা নয় দ্বন্দ্ব অহংকার 

এইগুলো ধারণ করলে তুমি মানুষ হতে পারবেনা আর, 

মানুষ হওয়া খুবই সহজ 

তুমি শুদ্ধ হও মন।

এমন ইদ আর চাই না

 গরীব ধনীর ভেদাভেদ ভুলে 

নামাজ আদায় করি সবাই ঈদগাহে, 

কোরমা পোলাও খেয়ে ঘুরি বন্ধুদের সঙ্গে 

হাসি মুখে কেটে যায় পেয়ে ইদ সেলামি 

অপেক্ষায় থাকি কবে আসবে আবার এইদিন। 

নেই আনন্দ শুধু চিন্তা আর ভাবনা 

এই বুঝি মরণব্যাধি করোনার ছোবলে পড়ি, 

আম্ফানে ধ্বংস কৃষকের সোনার ফসল আর জমি 

মরণব্যাধি করোনা কেড়ে নিয়েছে সুখ 

কতজন হারিয়েছে তাদের প্রিয় মুখ। 

বন্দি ঘরে যে ইদ পালন করেছি 

ইদ নয় মরণব্যাধি করোনা তার নাম রেখেছি, 

এমন ইদ আর চাই না 

নেই আনন্দ শুধু চিন্তা আর ভাবনা 

না না এমন ইদ আর চাই না। 


-২ 


আকাশে চাঁদ উঠেছিল ভাই, নতুন জামা পরেছে সবাই। 

দিয়েছে কুরবানি গোরু কিংবা খাসি, নেই শুধু হৃদয়ে হাসি। 

না না এমন ইদ আর চাই না ভাই, যেখানে দূরত্ব বলতে মানবতা হারায়। 

দেখেছি দু’চোখে ঘুরে এই শহরে, পশু জবাই হতে দেরি 

বলে ঘরে নেয় তাড়াতাড়ি, কেউ বা আবার দান করে দু’তিন টুকরো। 

হায়, ইব্রাহিম নবি কুরবানি দিয়েছে তার প্রিয় ধন, 

আমরা দেই কুরবানি লোক দেখানো বুঝি তার কারণ? 

আজ দেখি ত্যাগে নয় ভোগে সবাই ব্যস্ত! তুমি শুদ্ধ হও মন। 

ছেলে মেয়ের মুখে দিতে গোস্তো, পোলাও, সেমাই 

গায়ে খেটে একদিনের জন্য আজ অনেকে হয়েছে কসাই, 

ইদের নামাজ শেষে সকাল হতে গোরু কেটে- 

পেয়েছে আট শত টাকা, বউ বলে গোস্তো কোথায়? 

কালু মিয়ার মুখে নেই হাসি, বলে আমার কি করার সাহেবরা যদি না দেয় ভাই। 

এই মহামারিতে থেমে কি আছে খাওয়া দাওয়া? নানা বাহারের খাবার, 

সাহায্যের সময় ক্যান এতো ফর্মালিটি! মেরে খায় কারা গরীবের আহার।

আমি ধর্ষিত বাংলাদেশ

 কবি তোমার কবিতা লেখা বন্ধ করো এবার 

শিল্পী তোমার গান গাওয়া বন্ধ করো এবার 

নেতা তোমার নীতিকথা বন্ধ করো এবার 

ধার্মিক তোমার ধর্মের বাণী বন্ধ করো এবার, 

দয়া করে তোমরাও বন্ধ করো ভার্চুয়াল জগতে প্রতিবাদ। 

অনেক হয়েছে প্রোফাইলে শোকের ছবি, 

অনেক গেয়েছো গান অনেক বলেছ নীতি কথা 

অনেক শুনেছি ধর্মের বাণী 

এবার কবিতা লেখা বন্ধ করো কবি। 

প্রতিদিন হচ্ছি নির্যাতিত প্রতিদিন হচ্ছি লাঞ্চিত 

নেই কোনো সুষ্ঠ সুবিচার। 

ভালোই আছি বেশ 

আমি ধর্ষিত বাংলাদেশ। 

কবি তুমি খ্যাতি লাভের জন্য আমায় বানাও দেবী 

শিল্পী তুমি জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য আমায় বানাও প্রেয়সী 

নেতা তুমি পিতার পিতা হতে আমায় বানাও মেয়ে 

ধার্মিক তুমি ধর্ম বেচতে আমায় বানাও মা, 

অনেক হয়েছে বন্ধ করো এবার আমি কারো না। 

নির্লজ্জ জাতির বুকে আমার জন্মস্থান, 

প্রতিদিন হচ্ছি নির্যাতিত প্রতিদিন হচ্ছি লাঞ্চিত 

নেই কোনো সুষ্ঠ সুবিচার। 

ভালোই আছি বেশ 

আমি ধর্ষিত বাংলাদেশ। 

সাধুর মুখোশের ভেতরে অমানুষের বসবাস 

মানুষ হয়ে মানুষের করে সর্বনাশ! 

কুকুরকে আমি মানুষ ভেবে টেনে নেই কাছে 

স্নেহ আর ভালোবাসা দিয়ে পুষি তাকে, 

কারণ পুরুষের মাঝে মানুষ পাইনি সোনার দেশে।

ভালো নেই তোমার ইনসান

 কখনো করোনা কখনো আম্ফান 

কখনো পুড়িয়ে কখনো ডুবিয়ে 

জানিনা খোদা কী তোমার অভিমান, করোনা নিয়েছে প্রাণ 

বাসচালক হয়েছে রিকশাচালক, কতজনে লিখেছে কবিতা গান। 

খোদাই গজব নাকি কারো তৈরি কোনো অস্ত্র

তা নিয়ে গবেষণা, ভয়ে কাঁদে প্রাণ। 

পৃথিবী যেমন ছিল তেমন আছে, আছে চন্দ্র সূর্য আসমান 

বদলে গেছে শুধু ইনসান, 

লোভলালসা হিংসা অহংকার, ধ্বংস লীলায় মত্ত! 

তাই বুঝি তোমার মন হয়ে গেছে শক্ত। 

সকল ভাষাই তুমি জানো, জানিনা কীভাবে ডাকলে তুমি শোনো 

ক্ষমা করো মহান, ভালো নেই তোমার ইনসান। 

তোমার চেয়ে বেশি ভালো পৃথিবীতে কেউ বাসে না 

জন্ম নিলে মৃত্যু হবে, কুকুর বিড়ালের মতো পথে ঘাটে মৃত্যু দিওনা। 

ভয়ে কাঁদে প্রাণ, ক্ষমা করো মহান 

সুন্দর চরিত্র অধমেরে করো দান। 

ভালো নেই তোমার ইনসান।

উচ্চবিত্ত মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত

 -১

গাড়ি আছে বাড়ি আছে ঘরে আছে এসি 

ইচ্ছে হলেই গোরুর মাংসের বদলে খেতে পারে খাসি। 

ঘরে আছে কাজের লোক, দেয় জামা-কাপড় কেচে 

পোলাও মাংস খেয়ে সুখ সাগরে ভাসে। 

ধনীর নাই কোনো চিন্তাভাবনা ভাই 

ব্যাংকে আছে লাখ টাকা, ঘরে সোনার গহনা হায়। 

ইচ্ছে হলেই গোরুর মাংসের বদলে খেতে পারে খাসি 

গাড়ি আছে বাড়ি আছে ঘরে আছে এসি। 


-২

কীভাবে দেবো ঘর ভাড়া, কী খেয়ে বাঁচবো মোরা। 

না পারবো চাইতে না পারবো খাইতে 

মাস শেষ হচ্ছে ভাবতে ভাবতে। 

জমানো টাকা হয়ে গেছে শেষ 

এখন আর মধ্যবিত্ত নেই নিম্নবিত্ত বেশ। 

যা ছিলো খেয়ে-দেয়ে কেটেছে মাস 

এভাবে লকডাউন চললে আমরা হবো জিন্দালাশ। 

মধ্যবিত্ত মানুষ আমরা, না পারবো হাত পাততে 

দিন যাচ্ছে এখন ভাবতে ভাবতে। 


-৩

ঘরে প্রয়োজন যতটুকু চাল 

ত্রাণ দিয়েছে তার চেয়েও কম, আধা কেজি ডাল। 

দুখীর দুঃখ আর ঘুচে দেয় কে 

ঘর ভাড়া তো মওকুফ করে না বাড়িওয়ালা যে। 

দু’মুঠো ভাত পেতে গায়ের ঘাম ঝরে 

বড় বড় কথায় কী স্যার খিদা মরে? 

রিকশা নিয়ে বের হয়েছি জীবিকার খোঁজে 

করোনার চেয়েও ভয়ংকর সন্তানের চোখের জল যে।

হৃদয়ের কালিমা

 রোজা রেখে মনকে করো তুমি সোজা 

আপন ঘরে প্রভুর চরণে দাও তুমি পূজা। 

কুরআন পড়ো করো কায়েম সালাত 

ধন্য হবে জীবন, যদি ক্ষমা করে মহান। 

নিজের স্বার্থের জন্য অন্যের ফাটাও মাথা 

জীবনভর তুমি বললে মিথ্যে কথা, 

লাভ হবে না ওহে মুসলমান 

যদি ঠিক না থাকে তোমার ঈমান। 

রোজা রেখে যদি মন না হয় সোজা 

হৃদয়ের কালিমা যদি না হয় দূর 

বুঝবে না তুমি আযানের সুর, 

ঐ সুরে দেখেছি আমি হযরতের পথ 

সেজদা দিয়ে দ্যাখো তুমি নূরে মোহাম্মদ। 

ওহে মুসলমান শক্ত করো তোমার ঈমান 

ধন্য হবে জীবন, যদি ক্ষমা করে মহান। 

সুন্দর চরিত্র হৃদয়ে করতে হবে ধারণ 

রোজার হাকিকত বুঝবে তুমি, ধন্য জীবন 

ওহে মুসলমান শক্ত করো তোমার ঈমান। 

রোজা রেখে মনকে করো তুমি সোজা 

আপন ঘরে প্রভুর চরণে দাও তুমি পূজা।

শুভেচ্ছা

 ঘুরে ঘড়ির কাটা 

যায় চলে যায় সময় চলে যায়, 

দিন শেষে সূর্য মামা লুকায়। 

সকাল থেকে সন্ধ্যা করে সবাই ধান্দা, 

রাতে শহর ঘুমায়। 

৬০ মিনিটে এক ঘন্টা 

ভালো থাকুক সবার মনটা, 

দুঃখ-হাসি বেদনায়! 

যায় চলে যায় সময় চলে যায়। 

সপ্তাহ ঘুরে মাস আসে চলে দিন ঘুরে 

মাস শেষ হয় নতুন মাস শুরু, কার টাকা কার পকেটে গুরু 

যায় চলে যায় দিন চলে যায়। 

১২ মাস শেষ হলে শেষ একটি বছর, 

ভুলে গিয়ে করো গ্রহণ নতুন আরেকটি বছর। 

সূর্য উঠুক চাঁদ হাসুক ভুলে পিছের ব্যথা, 

বলবে সবাই নতুন বছরে নতুন ভাবে কথা। 

সবাইকে জানাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা। 

যায় চলে যায় বছর চলে যায়, 

কেউ কিছু হারায় কেউ নতুন কিছু পায়। 

কাটুক দিন সবার ভালো

আঁধার রাতে দুঃখীর ঘরে জ্বালাও সবাই আলো।

ধনী হয় অনেক লোকে

 -১

গরীবের দুঃখের কথা লিখে 

ধনী হয় অনেক লোকে, 

গরীবের দুঃখ গরীবেরই থাকে 

দুঃখ আর ঘুচে দেয় কে? 

কোরমা পোলাও কতকিছু খায় 

ক্ষুধার্ত মানুষের খবর কে রাখে ভাই? 

গরীবের দুঃখের কথা লিখে 

ধনী হয় অনেক লোকে। 


-২

গরীবের টাকায় হয়েছেন ধনী 

গরীবের পেটে মারেন লাথি! 

এতোই যখন ইচ্ছে পরিস্কার করতে এই শহর 

আসুন না আগে পরিস্কার করি নিজের অন্তর। 


-৩

পৃথিবী চুপচাপ কোথাও নেই প্রতিবাদী ঝড়, 

সবাই এখন ব্যস্ত নিয়ে যার যার স্বার্থ, 

শয়তান ফিরে গেছে তার ঠিকানায়, 

অমানুষগুলো চুষে খাচ্ছে এই সমাজ হায়!

কার পানে কে চায়

 ধনী খায় গরম ভাত সাথে ইলিশ মাছ, 

আমি খাই পান্তার সাথে কচু শাক 

গলা ধরেছে- 

তার চেয়েও বড় যন্ত্রণা হৃদয়ে মোর খুব, 

গরীব বলে করে সবাই অবহেলা 

অসহায় মানুষের অভাবে কাটে দিন বেলা। 

নতুন জামা কাপড় পরে 

ধনী খায় গরম ভাত সাথে ইলিশ, কত কিছু রে 

সোনার গহনা বউয়ের গলায় ওরে 

ঐ-তো এক বাড়ির পরে, 

চৌধুরী সাহেব থাকেন ঘরে। 

টেলিভিশনে দেখা যায় 

বাণী দিচ্ছে বড় বড় হায়! 

কে গরীব কে ধনী 

কিছুই নাহি আমরা চিনি, 

হাসি বড্ড পায় শুনে কথা হায় 

কে কারটা মেরে খায়? 

অসহায় মানুষ কাঁদে ক্ষুধায় 

কার পানে কে চায়, 

শুধু আমার আমার করে যায়। 

আমি খাই পান্তার সাথে কচু শাক 

গলা ধরেছে- 

তার চেয়েও বড় যন্ত্রণা হৃদয়ে মোর খুব, 

গরীব বলে করে সবাই অবহেলা 

অসহায় মানুষের অভাবে কাটে দিন বেলা।

হিংস্র প্রাণী

 বাংলায় এখন কী চলে। 

বাংলায় এখন চলে নীতিকথা, প্রতিবাদ। 

দু’দিন পরে সব চুপচাপ। 

হবে আবার একটা ইতিহাস। 

তুই চুপ থাক। 

আমরা মানুষ নই। 

ওরা হিংস্র প্রাণী। 

তাজা প্রাণ কেড়ে নেয় ক্ষমতার জোরে। 

ওরা ধর্মের নামে মানুষ জবাই করে। 

ওরা হিংস্র প্রাণী। 

ওদের মানুষ বলিস না। 

ওরা দাবি করে নিজেকে নায়েবে নবি। 

হায়! নারী ধর্ষণ, শিশু নির্যাতন 

নষ্ট করে মানবতার ছবি। 

ওরা সর্বযুগে শান্তির পায়রা হত্যা করেছে। 

তুই চুপ থাক। 

আমরা মানুষ নই। 

ওরা হিংস্র প্রাণী।

বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

মেয়েটির আজ মনখারাপ

 শোনো মেয়ে তোমার মনখারাপের দিনে

আমার যন্ত্রণা হয় জেনে,

তুমি হয়তো বোকা একটা মেয়ে

তাই মনখারাপ হয় তোমার যে।

আজ-কাল কে কাকে রাখে মনে

কে কার মাথায় রাখে হাত

কে চায় ঘুম নষ্ট করে দেখতে প্রভাত?

দেখো মেয়ে শীতের সকালে

পাখিদের খেলা,

ঘাসেরা বাতাসে দোলে

তুমি বদ্ধ ঘরে একলা!

তুমি সকাল দেখো, বাহিরে এসো

তোমার রংতুলিতে প্রেম এঁকো।

শোনো মেয়ে, সুখের ভাগীদার আছে অনেকে

দুঃখের ভাগীদার নিজে,

বদ্ধ ঘরে অন্ধকারে কাঁদলে কি আর সুখ মিলে?

মেয়ে, তোমার খোঁপার জবা হবো

অবহেলা করলে ধূলি হবো,

তোমার চরণে জড়িয়ে রবো।

মেয়েটির আজ মনখারাপ

খাচ্ছে না খাবার সে

তাতে কার ক্ষতি হচ্ছে! ভাবছি বসে,

শোনো মেয়ে, তুমি হাসো

কবিতা পড়ো,

তোমার রংতুলিতে যা ইচ্ছে আঁকো।

মেয়ে, তোমার মনখারাপ হলে

আমার ভালো লাগে না কিছু,

তুমি নাকি আমি কে অবুঝ শিশু?

তুমি রঙিন হও রংতুলির রঙে

মন তোমার ভালো হোক মনখারাপ ভুলে।

শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

তখন তুমি বললে

 আকাশ আমাকে গ্রহণ করল না

বলল আত্মা আমার ঘুমন্ত

জমিন আমাকে গ্রহণ করল না

বলল দেহ আমার পাপিষ্ঠ,

তুমি আমাকে গ্রহণ করলে

আমি অবাক হলাম

তখন তুমি বললে

"দেহকে তুমি বিলন করতে পারো

এবং আত্মাকে পারো শুদ্ধ করতে"

এরপর আমি তোমার পথ বেছে নিলাম

তুমি আমাকে পবিত্র জুম্মার দিনের মতো

শুদ্ধ করে দাও

আমি হয়ে উঠি তোমার।

মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

মুখোশদারি

বাহিরে দেখিতে খুবই সুন্দর 

মনে হয় যেন দেবতার অংশ, 

আসলে ওরা স্বার্থবাদী 

লেবাসদারি মানুষের মুখোশ পরা। 

নিজ স্বার্থের জন্য ওদের মুখে মিষ্টি কথা 

স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে,

ভেসে ওঠে ওদের আসল চেহারা। 

ওদের অনেক গুণ থাকে 

কখন কাকে কোন কথা বলে, 

সহজে বশ করা যায় যে। 

ওরা মুখোশদারি ওরা লেবাসদারি 

সেজেছে নায়েবে নবি! নাই ওদের চরিত্র 

ওরা বহুরূপি। 

ওরা সমাজের সুন্দর সুন্দর দায়িত্বে বসে 

সেজে আছে হাজি, 

নাই ওদের চরিত্র, ওরা মুখোশদারি। 

ভালো মানুষগুলো সমাজে ভালো কাজ 

করতে পারে না সহজে, 

অবহেলিত, লাঞ্চিত, পায় ঘৃণা নেই সম্মান 

লেবাসদারিদের কারণে। 

বাহিরে দেখিতে খুবই সুন্দর 

মনে হয় যেন দেবতার অংশ, 

আসলে ওরা স্বার্থবাদী 

ভালো মানুষের মুখোশ পরা 

ওরা মুখোশদারি।

মন তুমি মন

 বুকের ভেতর চেপে রাখো 

সকল কথা 

বুকের ভেতর চেপে রাখো 

সকল ব্যথা। 

মন তুমি মন 

মরার আগে মৃত্যু করো তুমি গ্রহণ 

এই জন্মে চিনে নাও নিজের রঙ 

মন তুমি মন 

মরার আগে মৃত্যু করো তুমি গ্রহণ। 

মন তুমি কিসের জন্য কাঁদো 

কিসের জন্য এতো ভাবো 

মিছে এই সব আয়োজন, 

মরীচিকার পিছে ছুটে দুঃখ তোমার কারণ। 

মন তুমি মন 

বুকের ভেতর চেপে রাখো 

সকল ব্যথা। 

মন তুমি মন 

মরার আগে মৃত্যু করো তুমি গ্রহণ। 

পৃথিবীতে কেউ ভালো নেই 

সবাই ভালো থাকার করে অভিনয়। 

মন তুমি মন 

এই জন্মে মানুষ না হলে 

মানুষ হবে কখন!

মানুষের মাঝে মানুষ

 সাতশো কোটি মানুষের সাতশো কোটি মন 

হারিয়ে যাচ্ছে মানুষ মানুষের প্রয়োজন। 

তুমি হিন্দু নও তুমি মুসলমান নও 

তুমি মানুষের ঘরে জন্ম নিয়েছ মানুষ হও। 

তুমি বাইবেল গীতা কুরআন চুম্মাইলে- 

মানুষের ঘরে জন্ম নিয়ে মানুষ না হইলে! 

মালিক তো করেননি তৈরি হিন্দু মুসলমান 

তোমরা করেছ তৈরি করেছ ব্যবধান।

তুমি মানুষের ঘরে জন্ম নিয়েছ মানুষ হও। 

মন্দিরেতে ভগবান কে পেয়েছে 

মসজিদেতে খোদা কে দেখেছে, 

মানুষের মাঝে মানুষ যে চিনেছে 

সে তো আল্লাহকে পেয়েছে। 

খোদার পৃথিবী খোদার নামে নাই 

তোমরা করেছ তোমাদের নামে ভারত পাকিস্তান হায়! 

দেইখা আসলাম আপনাতে 

জল খাচ্ছে সবাই একঘাটে, 

জাত জাত বলে তোমরা করো ব্যবধান 

দেখলাম না তো সেথায় ভিন্ন কালার। 

তুমি মানুষের ঘরে জন্ম নিয়েছ মানুষ হও। 

সাতশো কোটি মানুষের সাতশো কোটি মন 

হারিয়ে যাচ্ছে মানুষ মানুষের প্রয়োজন।

ক্ষমতা বেশি দিনের নয়

 আজ তোমার কাল আমার 

ক্ষমতা বেশি দিনের নয়। 

যে জোরে দখল করো তুমি 

অন্যের ভূমি, বেশি দিনের নয় 

আজ তোমার কাল আমার। 

তুমি রক্তের গরমে 

মানুষের সঙ্গে করো আচরণ খারাপ, 

খাও হারাম থাকো আরামে 

ঘুচতে পারবে কি একদিন এই পাপ? 

মানুষের মনে আঘাত দিয়ে 

হতে পারবে কি সুখী, 

কাঁদবে তুমি হয়ে দুঃখী ত্রিভুবনে 

মানুষ যদি কষ্ট পেয়ে থাকে তোমার কারণে। 

ক্ষমতার গরম খুবই খারাপ 

নিজেকে রাখতে হবে ভালো করে ভালো ব্যবহার। 

ক্ষমতা বেশি দিনের নয় 

আজ তোমার কাল আমার, পরশু আরেকজনের হয় 

যেমন টাকা নিজ নিজের পরিচয়। 

তোমার বলতে আমার বলতে নেই নিজের কিছু 

তুমি ক্ষমতা দ্যাখাও, মানুষ হয়ে সাজো যীশু! 

ক্ষমতা খুবই খারাপ একটি জিনিস, 

হ্যাঁ ক্ষমতা খুবই ভালো একটি জিনিস 

যদি তা মানুষের উপকার হয় 

ক্ষতির কারণ নয়।

আরকি আসবে ফিরে সেইদিন

 আরকি আসবে ফিরে সেইদিন 

ভাবি বসে একলা মন 

সোনার ফসল মাঠে 

ঘুরে বেড়াতাম সবুজ ঘাসে। 

কোথায় গেলো পুরানো সেইদিন 

দেখতাম পুকুর পাড়ে বসে 

মাছ ধরতো কত লোকে। 

কোথায় গেলো পুরানো সেইদিন 

যাত্রা দেখতে ছুটে যেতাম 

আঁধার রাতে বহু পথ হেঁটে। 

সবাই ছুটি এখন টাকার পিছে 

পুরানো দিন ভুলে 

ভালোবাসা দিয়ে ভালোবাসা কিনতে 

গেছি এখন ভুলে। 

সবাই জমায় টাকা 

আমি চাই জমাতে মানুষের ভালোবাসা। 

আরকি আসবে ফিরে সেইদিন 

ভাবি বসে একলা মন, 

বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজন 

কোথায় গেলো তারা এখন 

ব্যস্ত সবাই যার যার মতন। 

অর্থ তুমি বড়ই শক্ত স্বার্থবাদী মন 

ভুলে উপকারের কথা, তোমার কাছে নত হয় 

বন্ধুবান্ধব স্বজন। 

কোথায় গেলো পুরানো সেইদিন 

আরকি আসবে ফিরে 

কথায় আছে যায় দিন ভালো

আসে দিন কঠিন ওরে।

মহা উৎসব

 বছর ঘুরে এলো 

মহা উৎসব, দুর্গা পূজারে 

দলে দলে যায় সবাই পূজা মন্ডপে। 

নতুন জামা কাপড় পরে 

দুঃখকে বিদায় দিয়ে, 

থালায় ফুল সাজিয়ে 

ঢাক ঢোল বাজিয়ে, 

হাসি মুখে করবে বরণ 

মা-দেবীরে। 

মায়ের আগমনে 

মন আনন্দে দোলে, 

ঘর হইলো আলো 

দেবী-মা ঘরে এলো। 

বিনাশ করে অশুভ শক্তি, 

শুভ শক্তির প্রতীক 

মা-দুর্গা দেবী। 

করিয়া মায়ের চরণে প্রেমও ভক্তি 

দূর করে নেও 

নিজের অশুভ শক্তি! 

বছর ঘুরে এলো 

মহা উৎসব, দুর্গা পূজারে।

তারাও তো ভাই মানুষ

 দারোয়ান হতে পারে অমানুষ তো নয় 

তবে কেন তার সাথে মিছে অভিনয়। 

স্বার্থের প্রয়োজনে মুখে মিষ্টি কথা 

স্বার্থ শেষে বলো তিতে কথা। 

দারোয়ান হতে পারে অমানুষ তো নয়। 

অপরাধ না করেও হয় দোষের ভাগী 

তবু তারা কারো উপরে কখনো রাগ করেনি। 

দারোয়ান হতে পারে অমানুষ তো নয়। 

দারোয়ান হুকুমের দাস হুকুম মেনে পথ চলে 

কেন তারে দোষী বানাও নিজ স্বার্থে। 

স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস-আদালতে, বাসাবাড়ি 

সব জায়গায় দারোয়ান প্রয়োজন জেনে রাখো তুমি যে। 

তারাও মানুষ, তাদেরও আছে মন, তারা এই সমাজেরই অংশ ভাই 

তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করিও না কেউ তাই বলে যাই। 

দেখেছি এই সমাজে দারোয়ানদের কত দায়িত্ব থাকে কাঁধে। 

জীবনের চেয়ে দায়িত্ব বড় বুঝবে যেদিন 

তারাও যে মানুষ বলবে তুমি সেদিন। 

দারোয়ান হতে পারে অমানুষ তো নয় 

তারাও মানুষ, হোক মনুষ্যত্বের জয়।

ইশকুলেতে যাই

 আয় বন্ধুরা আয় ইশকুলেতে যাই 

ইশকুলেতে গিয়ে বিদ্যা শেখবো তাই। 

হৃদয়েতে বিদ্যা আমরা করবো ধারণ 

বাবা মা হবে খুশি খেলাধুলাতে নেই বারণ। 

ইশকুলেতে যাই আমরা ইশকুলেতে যাই 

কী পড়ে জ্ঞানী হওয়া যায় জানতে তাই।

কীভাবে সূর্যের মতো জ্বলে ওঠা যায় 

কীভাবে চাঁদের মতো আলো দেয়া যায় 

ইশকুলেতে গিয়ে তাই শেখবো ভাই। 

আয় বন্ধুরা আয় ইশকুলেতে যাই 

ইশকুলেতে গিয়ে সোনার মানুষ হবো ভাই। 

হৃদয়েতে বিদ্যা আমরা করবো ধারণ 

বাবা মা হবে খুশি খেলাধুলাতে নেই বারণ।

জন্ম থেকেই কাঁদছি

 আচ্ছা জীবনটাই কী এমন জন্ম থেকেই কাঁদছি 

সুদিনের আশায় কেঁদে যাচ্ছি জন্ম থেকে। 

এই ছোট্ট একটা জীবনে কতো গল্প, কতো কবিতা, 

কতো গান, কতো কথা, কতো ব্যথা, 

একদিন তাও ঝরে যাবে বৃষ্টির মতো হয়তোবা। 

জীবনে অনেক কিছুই আছে, জীবন তবু শূন্যে ভাসে, 

আচ্ছা জীবনটাই কী এমন জন্ম থেকেই কাঁদছি। 

কোথায় হারিয়ে গিয়েছে জীবন 

কেউ কী তার দেখা পেয়েছে? 

সুখ করতে করতে মন একদিন হারিয়ে যাবে 

আর ফিরে আসা হবে না, এই জীবনের কাছে। 

প্রত্যেক মানুষই দুঃখী, 

হাসির আড়ালে দুঃখ লুকিয়ে বলে আমি সুখী। 

মানুষ সুখ পাখি পুষে যত্ন সহকারে ভালোবাসা দিয়ে, 

একদিন সে পাখি উড়ে যায়, 

তখন মানুষ বিরহে ছটফট করে। 

ফুল শুধু সুভাস দেয় না কাঁটার আঘাতও দেয়, 

ভালোবাসা শুধু সুখ আনন্দ দেয় না, দুঃখ বেদনাও উপহার দেয়। 

মানুষের জীবন এক একটা ইতিহাস, কারোটা প্রকাশিত 

কারোটা অপ্রকাশিত থেকে যায়। 

যে পাখি একদিন পালিয়ে যায় কাঁদিয়ে দু’আখি 

আমরা তবু তার পানে চেয়ে থাকি। 

আচ্ছা জীবনটাই কী এমন মরীচিকার পিছে ছুটাছুটি। 

এই ছোট্ট একটা জীবনে কতো গল্প, কতো কবিতা, 

কতো গান, কতো কথা, কতো ব্যথা।

টাকা রে ভাই টাকা

 তুমি আপনকে করো পর 

পরকে করো আপন, 

তুমি বন্ধু তুমি স্বজন 

তুমি মধু তুমি জাদু তুমি সাধু

তুমি মাতা তুমি পিতা 

তুমিই সব, 

টাকা রে ভাই টাকা। 

তোমার গন্ধ 

জ্ঞানীকে করে অন্ধ, 

টাকা রে ভাই টাকা 

বলো তুমি কত কথা 

দাও তুমি প্রাণে ব্যথা। 

তোমার গন্ধে মনের আনন্দে 

মৃত লাশ নাচে ছন্দে। 

টাকা রে ভাই টাকা 

তুমি ইশ্বর, তুমি ভগবান 

নাকি তুমি পাপের জন্মদাতা। 

টাকা রে ভাই টাকা 

তুমি বন্ধু তুমি স্বজন 

তুমিই নাকি রব?

তোমার যে কারিশমা 

মানুষকে করে অমানুষ 

বানিয়ে তোমার সখা। 

ওভাই টাকা 

তোমার জন্য মিছে আয়োজন। 

তুমি আপনকে করো পর 

পরকে করো আপন, 

বানিয়ে তোমার সখা।

মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

মেয়েটির হৃদয়

 মেয়েটির চোখে জল দেখে ভাবতে ছিল কবি,

সে নাগা মরিচের ঝালে কাঁদছে—

নাকি দেখাতে চাচ্ছে ভাঙা হৃদয়ের ছবি।

ও কবি, তুমি কি পারো পড়তে মানুষের হৃদয়?

হচ্ছে দেখো বৃষ্টি হচ্ছে দেখো ঝড়,

ও বৃষ্টি, ও ঝড় মেয়েটির হৃদয় বেদনার ঘর!

রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪

সাহিত্যে ব্যবসা

 কাঁদে রবীন্দ্রনাথ কাঁদে, কাঁদে নজরুল 

হায় কাঁদে আহমদ ছফা দেখে সাহিত্যিকদের ভুল। 

তাঁরা লিখেছিল মানুষের জন্য 

আজকের সাহিত্যিকরা লেখে খ্যাতি লাভের জন্য 

বড় বড় পদক আর স্বর্ণ, লোভে মগ্ন! 

ছন্দই নয়তো কবিতার মূল 

কঠিন শব্দে যদি থাকে ভুল, 

মিথ্যে গল্প আর ভুল ছন্দে 

লেখা যায় হাজারও গল্প কবিতা ঢঙে। 

সাহিত্য নয়তো শুধু জনপ্রিয়তা, সাহিত্য হচ্ছে হৃদয়ের সাধনা। 

দেখে সাহিত্যিকদের লেখা তাই বুঝি কাঁদে আজ তাঁরা। 

কাঁদে রবীন্দ্রনাথ কাঁদে, কাঁদে নজরুল 

হায় কাঁদে আহমদ ছফা দেখে সাহিত্যিকদের ভুল।


-২


যা ইচ্ছে লিখে যাও মিয়া নয় আর ছয় 

মানুষের উপকারে আসুক আর না আসুক হোক তোমার পরিচয়, 

এই যদি হয় সাহিত্য সাধনা 

তবে তুমি লেখক কবি হতে পারো কিন্তু সাহিত্য প্রেমিক না। 

পড়লেই যদি লেখা যায় গল্প কবিতা 

আর গল্প কবিতা পড়লেই যদি হয় লেখক, কবি। 

হায় তবে জেনে রাখো তুমি ‘হে কবি 

তোমার মাঝে নেই মানবতার ছবি। 

সাহিত্য সাধনা অন্তরে থাকে, অন্তরে করে বাস 

কতজনেই হয়েছে লেখক, কবি। 

নেই মানব প্রেম নেই তোমার হৃদয়ে মানবতার সুবাস। 

আরে মিয়া এই যদি হয় অন্তরের অবস্থা 

তবে তুমি লেখক, কবি হতে পারো সাহিত্য প্রেমিক না। 

তোমার মাঝে নেই মানবতা 

সাহিত্য প্রেমিক আর লেখক, কবি এক নয় মিয়া 

লেখক কবিরা আজ কাল খোঁজে ব্যবসা। 

সাহিত্য প্রেমিক খোঁজে ভালোবাসা। 

সাহিত্য প্রেমিক যে, তার মাঝে রবেনা রে 

হিংসা, অহংকার, নিন্দা, লোভ-লালসা। 

কিসের ভয়! কিসের লজ্জা! 

হাতের কলম বড় অস্ত্র 

যা দিয়ে তুমি পরিবর্তন করবে এই বিশ্ব, 

ধ্বংস হবে সমাজের কালো ছায়া। 

যা ইচ্ছে লিখে যাও মিয়া নয় আর ছয় 

মানুষের উপকারে আসুক আর না আসুক জানুক তোমার পরিচয়, 

এই যদি হয় সাহিত্য সাধনা 

তবে তুমি সাহিত্যের কিছুই জানো না। 

নয় হিংসা, নয় অহংকার, নয় নিন্দা, নয় লোভ-লালসা 

সাহিত্যের মূল শিক্ষা। 

সাহিত্য প্রেমিক প্রকৃত কবি, লেখক গণেরা 

অন্তরে রাখে মানব প্রেম, 

চোখে রাখে মুখে রাখে ধ্যানে রাখে জ্ঞানে রাখে 

মানব প্রেম, রাখে মানবতা, 

তাদের কলমে থাকে সত্য কথা। 

যা ইচ্ছে লিখে যাও মিয়া নয় আর ছয় 

এই যদি হয় তোমার অন্তরের অবস্থা, 

তবে তুমি কবি নও, নও তুমি লেখক। 

কিসের সাহিত্য প্রেমিক তুমি 

করিতেছ লোভ-লালসা, করিতেছ সমাজ ধ্বংস 

লিখে অশ্লীল কথাবার্তা। 

মানুষের উপকারে আসুক আর না আসুক হোক তোমার পরিচয় 

যা ইচ্ছে লিখে যাও মিয়া নয় আর ছয়।

নেমে এসেছে

 আনন্দ জিনিসটা কী ভুলে গিয়েছি বহু আগে 

ভুলে গিয়েছি সুখ জিনিসটাও কী 

হতাশা নেমে এসেছে এই জীবনে বহুবার 

ভয় নয় 

দুঃখ দিয়ে মোকাবেলা করেছি। 

মানুষ সুখ সুখ করে হতাশ 

আমি তা ভুলে থাকি 

দুঃখ নিয়ে বেশ ভালোই আছি, 

সুখ নামের শব্দটাই 

মানুষকে বেশি হতাশ করে দেয়। 

মানুষ ভুল করে করতেই পারে 

মানুষ তো, মানুষেরই ভুল হয় 

তবে বারবার ভুল করলে 

তা আর ভুলের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকে না, 

হয়ে উঠে চুপে চুপে কান্না। 

আমি ভুল করে 

ফুলের কাছে চেয়েছিলাম ফুল। 

আনন্দ জিনিসটা কী ভুলে গিয়েছি বহু আগে 

ভুলে গিয়েছি সুখ জিনিসটাও কী 

হতাশা নেমে এসেছে এই জীবনে বহুবার 

ভয় নয় 

দুঃখ দিয়ে মোকাবেলা করেছি।

আমরা মানুষ ভালোই ছিলাম

 আমরা মানুষ ভালোই ছিলাম খারাপ ছিলাম কবে 

স্বার্থের জন্যই মিশে গেছি আজ পাপের কাজে! 

দেশ আমার ভালোই ছিলো খারাপ ছিলো কবে 

স্বার্থের জন্যই জাতি আজ দেশকে ব্যবহার করে!

দেশ আমার ভালোই ছিলো খারাপ ছিলো কবে 

স্বার্থের জন্যই দূর্নীতি আজ মিশে গেছে রক্তে!

ভালোবাসা পবিত্র ছিলো অপবিত্র ছিলো কবে 

প্রতারকদের কারণেই আজ ভালোবাসাকে অপবিত্র বলে! 

দেশ আমার ভালোই ছিলো, মানুষগুলো ভালোই ছিলো খারাপ ছিলো কবে 

স্বার্থের জন্যই মানুষগুলো অমানুষের রূপ ধারণ করে! 

ও পাপী মন প্রত্যেকদিন মন থেকে একবারও যদি মৃত্যুকে করতে স্মরণ 

তুমি করতে না আর পাপ কাজ, থাকতে ভালো সারাজীবন।

তুমি মানুষ ভালোই ছিলে খারাপ ছিলে কবে 

মৃত্যু তোমার সুন্দর হবে, সৎ পথে চলিলে। 

আমরা মানুষ ভালোই ছিলাম মায়ের কোলে 

লোভ তোমায় নিয়ে গেছে অন্ধকার জগতে! 

দেশ আমার ভালোই ছিলো খারাপ ছিলো কবে 

তুমি মানুষ ভালোই ছিলে জন্ম যেদিন নিলে, 

আজ তুমি খারাপ হলে আলোর পথ ভুলে।

সুখী মানুষ

 সুখী মানুষ হাসতে ভালোবাসে 

সুখী মানুষ গান গাইতে ভালোবাসে 

সুখী মানুষ কবিতা পড়তে ভালোবাসে 

সুখী মানুষ বই পড়তে ভালোবাসে 

সুখী মানুষ লিখতে ভালোবাসে। 

সুখী মানুষ অন্যের দুঃখ ঘুচে দেয় 

অন্যের দুঃখে কাঁদে, নিজের সুখ বিলিয়ে 

সুখী মানুষ নিজের দুঃখ ভুলে। 

সুখী মানুষ অন্যের উপকার করে যায় নিঃস্বার্থে, 

আর দুঃখী মানুষ 

অন্যের সমালোচনা করতে করতে 

একদিন ডুবে মরে।

আত্মার সুরতে

 হিন্দু তুমি দেবতা খোঁজো মন্দিরে 

মুসলিম তুমি আল্লাহ্ খোঁজো মসজিদে 

খ্রিস্টান তুমি ইশ্বর খোঁজো গির্জায়

বৌদ্ধ তুমি পেয়েছো প্রভু কোথায়?

হিন্দু তুমি মুসলিম দেখলে করো ছি 

মুসলিম তুমি হিন্দু দেখলে তা! 

পারবে কি তৈরি করতে মানুষ? কোথায় দেবতা। 

মসজিদ, মন্দির, গির্জায়, ইশ্বর থাকে বলে যারা 

ভণ্ড, প্রতারক, মূর্খের-দল তারা, 

তারা ধর্ম ব্যবসায়ী, তারা মানুষ হত্যাকারী, 

নাই নাই মসজিদ মন্দির গির্জায় প্রভু নাই। 

‘কুলুবুল মুমিনিনা আরশুল্লা।’

মোমিন ব্যক্তির মাঝে খোদার ঠিকানা।

আমি হিন্দু নই আমি মুসলিম নই, নই আমি বৌদ্ধ, খ্রিস্টান 

‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।’ 

আমি মানুষ হতে চাই। মানুষের গান গাই। 

নাই নাই মসজিদ মন্দির গির্জায় প্রভু নাই। 

‘কুলুবুল মুমিনিনা আরশুল্লা।’

মোমিন ব্যক্তির মাঝে খোদার ঠিকানা।

হিন্দু তুমি দেবতা খোঁজো মন্দিরে 

মুসলিম তুমি আল্লাহ্ খোঁজো মসজিদে 

খ্রিস্টান তুমি ইশ্বর খোঁজো গির্জায়

বৌদ্ধ তুমি পেয়েছো প্রভু কোথায়?

যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি সদয় নন 

আল্লাহ্ও তার প্রতি সদয় নন, 

মানুষের অন্তরে দিওনা কেউ ব্যথা 

পাবে না আল্লাহ্, তুমি পাবে না ইশ্বর তোমার দেবতা। 

মুসলিম তুমি হিন্দু দেখলে করো ছি 

হিন্দু তুমি মুসলিম দেখলে তা!

পারবে কি তৈরি করতে মানুষ? কোথায় দেবতা। 

ক্ষমা করে দিও ‘হে প্রিয় মানুষ, 

যদি দিয়ে থাকি তোমাদের মনে ব্যথা। 

‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।’ 

আমি মানুষ ভালোবেসে যাই। মানুষের গান গাই। 

আমি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নই, 

মানুষ হতে চাই, আত্মার সুরতে মানুষ যেন হই।

ইদ বলে কথা

 ঘুরবো আমি খাবো আমি 

যাবো বন্ধুদের বাড়ি 

সুখ দুঃখ ভাগ করে নিবো 

হয়ে আমার আমারি 

ইদ বলে কথা রে 

ইদ বলে কথা, 

নতুন কাপড় পরবো 

পরবো আরো কত কী

বন্ধুদের রঙে সাজাবো মন 

ইদেরই দিন ইদেরই দিন। 

চাঁদ যেমন হাসে রে 

দিয়ে আঁধার রাতে আলো 

তেমনি করে ইদের দিন 

থাকুক সবার মন ভালো, 

কে গরীব কে ধনী 

তা দেখবো না 

তা দেখোনা

বুকে বুক মিলিয়ে 

হয়ে যাও আপনা। 

দূর হোক হৃদয়ের কালো

কাটুক ইদ সবার ভালো

ইদ বলে কথা রে 

ইদ বলে কথা।

এমন মন কোথায় রে

 আবার যদি জনম পাই 

মানব হয়ে আসব না আর ধুলির ধরায় 

মানব হয়ে জন্ম নিলে 

এতো দুঃখ কেন দেয় বিধাতায়। 

যখন ছিলাম মাওলার কাছে 

ছিলাম নিষ্পাপ 

ছিল না খাওয়া দাওয়া 

নিঃশ্বাসের অভাব। 

দেখে মায়ার সংসার 

দুঃখ লাগে অন্তরে 

স্বার্থ ছাড়া মানুষ আপন হয় 

এমন মন কোথায় রে। 

যদি আবার জনম পাই 

মানব হয়ে আসব না আর ধুলির ধরায়।

যখন পাঠালে মায়ের কোলে 

নিজের বুঝ কেন দিলে 

মায়ের কোলোই ভালো ছিলাম 

বড় হলাম না যেন পাপী আগুনে ঝাপ দিলাম। 

যখন ছিলাম নিস্পাপ 

ছিল না খাওয়া দাওয়া 

নিঃশ্বাসের অভাব। 

আবার যদি জনম পাই 

মানব হয়ে আসব না আর ধুলির ধরায় 

মানব হয়ে জন্ম নিলে 

এতো দুঃখ কেন দেয় বিধাতায়।

সাধু

 ফেসবুকে দেখি সেজেছে সবাই সাধু

করোনা নিয়ে ব্যবসা কারা করে প্রভু!

জান্নাতে হুরপরীরা খাওয়াবে ফল ফুল

সে লোভে অনেকে হয়েছে ব্যাকুল,

ধর্মের বাণী ছড়াছড়িতে মেসেঞ্জার হয় ভার

শেয়ার করলে জান্নাত নাকি হবে আমার।

সেলিব্রেটি হতেই হবে মনে বাসনা

ভাইরাল করতে নিজেকে বাকি কিছুই রাখেনা,

চিন্তা চেতনা কতো সুন্দর

নাই চরিত্র ভেতরে বান্দর।

নাস্তিক ভণ্ড বলে দেয় একে অপরকে ফতোয়া

ধার্মিকদের মুখে শোনা যায় অন্যের সমালোচনা।

মন্দিরের নয়নমণি হয়েছে আজ যারা

ইশ্বরকে বিক্রি করে খাচ্ছে তারা।

নারী ধর্ষণ, শিশু নির্যাতন আজও হয়নি বন্ধ

জ্ঞানের ছড়াছড়িতে জাতি হয়েছে অন্ধ।

টাইমলাইনে উপদেশ দিতে ব্যস্ত মূর্খের দল

যার নাই চরিত্র তার কিসের ধর্ম!

করোনাকে সত্যিই যদি ভয় করতো

জিনিসের দাম তবে কী বাড়তো,

মৃত্যুকে করে না ভয় লোভী অর্থে

জাতি একে অপরকে মারে নিজ স্বার্থে।

প্রভু উদ্ধার করো তুমি কঠিন বিপদে

জানিনা এর শেষ কী! মঙ্গল করো সবারে।


-২


ঘরেতে থাকো ঘরেতে থাকো ঘরেতে বাঁচো

যার নাই ঘরবাড়ি তারে কোথায় রাখো?

একদিন কাজ না করলে যার জুটে না ভাত

সে কি মানে করোনা টরোনা ধর্ম জাত।

ছিঁড়বো গলার মালা মারবো মুখে তালা

পেটে ক্ষুধার জ্বালা, জ্ঞান দাও শালা।

যে দেশেতে বিশ টাকা হয়ে যায় দশ টাকা

নিচ তলাতে এসে

সাড়ে সাত কোটি বাঙালির

সাড়ে সাত কোটি কম্বল ‘নেতা পায়নি নিজে’।

তুমি সে দেশেতে স্বপ্ন দেখো

কানাডার মত আমাদেরও নেবে দায়িত্ব!

দূর্নীতি যাদের রক্তে মেশা প্রমাণিত বহুবার

ঘর করেছে আড়ত, মজুদ হয়েছে খাবার।

ঘরেতে থাকো ঘরেতে থাকো ঘরেতে বাঁচো

যার নাই ঘরবাড়ি তারে কোথায় রাখো?

সচেতন সচেতন বলে করে যাও চিৎকার

অসচেতনায় তোমরা

শুধু অর্থে নয় স্বভাবে তোমাদের অভাব,

চোরে মানে না ধর্মের বাণী

কারে বলি আমি এই কাহিনী।


-৩


মতিঝিল থেকে আসার পথে

দেখলাম আইডিয়ালের মোড়ে

পুলিশ ফাঁড়ি ঘেঁষে

শুয়ে আছে এক ব্যক্তি পথের ধারে,

আসলাম যখন বিজয় স্মরণীর মোড়ে

ছোট্ট একটি মিষ্টি মেয়ে জামা টেনে ধরে

ভাইয়া ফুল নেবেন ফুল? টাকা দরকার ঘরে

অনাহারে কাটছে দিন খাবারের অভাবে,

এর পরে আসলাম যখন ষাট ফিটের মোড়ে

দেখলাম সেখানে অনেক মানুষে

ধুলোবালি গায়ে জীবন যুদ্ধে লড়ে। 

বিশ্ব যখন করোনা করোনা বলে কাঁপছে ডরে

তখন আমি চিন্তিত এই মানুষের তরে।

বাংলাতে নেই বিল গেটস

নেই কানাডার মত রাষ্ট্রনায়ক

আছে তবে এই বাংলায়

প্রভাবশালী টাকাওয়ালা এসি গাড়িতে চড়ে,

চাইলে তারা করতে পারে

এই দেশ ক্ষুধা-দারিদ্র্য মুক্ত ওরে।

মনেপ্রাণে আমি বিশ্বাস করি

মানুষের মাঝে ইশ্বর থাকে।

সত্যিই আমি এই মানুষের চরণে

পূজা দিতাম মন ভরে,

যদি হাত মুখের সাথে

নিজেদের মনটাও ধুতো করোনার ভয়ে।


-৪


বিশ্ব যখন করোনা করোনা বলে কাঁপছে ডরে

তখন আমি চিন্তিত এই মানুষের তরে।

এই মানুষেরে করি ঘৃণা এই মানুষেরে বাসি ভালো

এই মানুষে দেখি খারাপ এই মানুষে দেখি আলো

এই মানুষের কাছে আসি এই মানুষকে ভালোবাসি

এই মানুষে দেখি ভালো এই মানুষে দেখি কালো

এই মানুষের সাথে মিশি এই মানুষের মাঝে ইশ্বর খুঁজি,

মনেপ্রাণে আমি বিশ্বাস করি

মানুষের মাঝে ইশ্বর থাকে।

এই মানুষকে ভালোবাসি

মানুষের দেয়া ঘৃণা আর অবহেলা বুকে নিয়ে বাঁচি

বারবার আমি এই মানুষের কাছে আসি।

ঘরেতে থাকো ঘরেতে থাকো ঘরেতে বাঁচো

যার নাই ঘরবাড়ি তারে কোথায় রাখো?

একদিন কাজ না করলে যার জুটে না ভাত

সে কি মানে করোনা টরোনা ধর্ম জাত।

নিঃস্বার্থে করোনা প্রতিরোধে নিরলস কাজ করছে যারা

শ্রদ্ধা সম্মান সে সকল মানুষদের প্রতি ‘মহান মানুষ তাঁরা’।

কিছু হলেই রাষ্ট্রপ্রধানের দোষ

দোষ কী শুধু দেশের! দোষ আমাদের চরিত্রে।

দূর্নীতি যাদের রক্তে মেশা প্রমাণিত বহুবার

ঘর করেছে আড়ত মজুদ হয়েছে খাবার।

ফেসবুকে দেখি সেজেছে সবাই সাধু

করোনা নিয়ে ব্যবসা কারা করে প্রভু!

করোনাকে সত্যিই যদি ভয় করতো

জিনিসের দাম তবে কী বাড়তো,

মৃত্যুকে করে না ভয় লোভী অর্থে

জাতি একে অপরকে মারে নিজ স্বার্থে।

প্রভু উদ্ধার করো তুমি কঠিন বিপদে

জানিনা এর শেষ কী! মঙ্গল করো সবারে।


-৫


বাংলার কঠিন বিপদের দিনে আলী বাবা আসে

গ্রামীণ ব্যাংক ব্রাক ব্যাংক স্কয়ার বসুন্ধরা যমুনা-গ্রুপ

ওয়ালটন বড় বড় কোম্পানিগুলো কোথায় থাকে

এত এত ব্যাংক, এমপি, মন্ত্রী, মেয়র তাদের ভূমিকা কী

ফুটানি মারা যাকাত দাতা কোথায় তারা

শাড়ি লুঙ্গি বিলাতে যেয়ে মানুষ মারে যারা?

সত্য কাজে নয়তো রাজি

মিথ্যাকে করে পুঁজি সেজেছে সবাই হাজি,

যার আছে যত খাচ্ছে সে তত।

বাহ্ জাতি বাহ্! সেনাবাহিনী রয়েছে মোতায়েন

হবে লকডাউন এই শহরে

যাদের নাই ঘরে খাবার তারা কী খাবে?

যারা বাসা বাড়িতে খায় করে কাজ

করোনার কারণে তাদের না করে দিচ্ছে আজ

এই মানুষগুলোর কী হবে?

বললেই তোমরা বলবে আমি খারাপ

আমরা হয়েছি ঘরে বন্দি তার কারণ পাপ,

যতই করো তা না না খোদার মাইর

আমরা মানুষ মানুষ হলাম না,

পাপ করো না পাপ করো না

পাপের কারণেই আজ করোনা আমাদেরকে ছাড়ে না!

সবাই থাকুক ভালো সবাইকে নিয়ে

করোনা হোক দমন আমাদের সচেতনে,

ক্ষমা করো হে প্রভু দয়াময় কঠিন বিপদে

জানিনা এর শেষ কী! মঙ্গল করো সবারে।


-৬


যারা বলে এই দেশেতে খাবারের অভাবে

এখন আর মানুষ মরে না

নেই গরীব, ধনীদের সোনার বাংলা

চোখ থাকতে কানা তারা চোখে দেখে না

শুয়ে আছে রেলস্টেশনে কতো মানুষ

ক্ষুধায় শিশু কাঁদে

পেটের দায়ে কিশোরী বদলায় হাটে হাটে

তারা কি মানুষ না? তাদের খবর কেউ রাখে না।

কোন ধনী দেশে মন জন্ম নিয়েছ তুমি

বললেই কিছু তোমরা বলবে দোষী আমি।

চিন্তা ভাবনা খুবই খারাপ

শুধু অর্থে নয় স্বভাবে আমাদের অভাব।

এই দেশেতে জন্ম আমার গর্ব করে বলি

দেখে জাতির কর্মকাণ্ড লজ্জা পাই আমি।

দূর্নীতি যাদের রক্তে মেশা প্রমাণিত বহুবার

ঘর করেছে আড়ত মজুদ হয়েছে খাবার।

দেখলাম গিয়ে মিরপুর বিআরটিএ-তে

টাকা ছাড়া কাজ হয় না সহজে।

সার্জেন্ট খেলো ছয়শো টাকা, ছেড়ে দিলো চারটি বাইক

আইন দেখালো আইন মানলো না! কার হলো পাপ,

এ-টেবিল নয় ও-টেবিল আগামীকাল আসেন হবে না আজ।

ঘুষ ছাড়া, দালাল ছাড়া, হয় না সহজে সরকারি কোনো কাজ।

মেডিকেল, ডাক্তার নার্সদের কথা কী বলবো ওরে

স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালতে দূর্নীতি বাংলা জুড়ে,

ক্ষমা করো হে প্রভু দয়াময় জাতি মরি লোভে।

ভালোবাসি না তোমাকে

 না না ভালোবাসি না তোমাকে আমি ভালোবাসি না

দেখেছি কত ভালোবাসা হয়েছে নিমিষে শেষ ফুরিয়ে গেলে চাওয়া পাওয়া

আমি বাসি না তোমাকে ভালোবাসি না প্রিয়তমা,

আমি দেখেছি দুচোখে কলেজের সহজ সরল ছেলেটি

রূপবতী মেয়ের প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে হয়েছে আজ সে অন্যের স্বামী

হ্যাঁ দেখেছি আমি প্রিয় মানুষটিকে ভুলে

মেয়েটি আজ ঘর বেঁধেছে টাকাওয়ালা ছেলে পেয়ে!

বাসি না আমি ভালোবাসি না

যত ইচ্ছে আমায় করো তুমি ঘৃণা।

আমি হতে আসিনি তোমার যৌবনের সাথী

আমি হতে চাই তোমার শেষ জীবনের লাঠি,

যেখানে তুমি হাত রেখে পাবে ভরসা

পাবে নিঃশ্বাসে বিশ্বাসে ভালোবাসা

যে ভালোবাসায় কাটিয়ে দেবো দুজনে লক্ষ জনম।

তুমি আমার শুকনো গলায় জলের তৃষ্ণা

না না তোমাকে আমি ভালোবাসি না

ভালোবাসার চেয়ে যদি অধিক কিছু থাকে

সেখানে আমি রেখেছি তোমায় এঁকে।

না না বাসি না ভালো তোমায়

প্রেমেতে কী আর ভালোবাসা পাওয়া যায়?

মরণে যদি দুজনে অমর হই ক্ষতি কী প্রেয়সী

ছাড়ো এইসব মিছে ভালোবাসা বাসি,

এসো সুখে দুখে দুজনে একসাথে বাঁচি।

আমি বৃষ্টি হয়ে ধুয়ে দেবো তোমার গায়ের নোনা জল

মুছে চোখের পানি, লাগিয়ে দেবো তোমার চোখে কাজল

পরিয়ে দেবো খোঁপায় রক্তজবা ফুল, দুকানে সোনার দুল

আমি পরিয়ে দেবো তোমার গায়ে শাড়ি, পায়ে আলতা

এইভাবেই কাটিয়ে দেবো আমাদের জীবনটা।

তবু বলি প্রেয়সী বাসি না ভালো তোমায় আমি

ভালোবাসার চেয়ে যদি অধিক কিছু থাকে

সেখানে আমি রেখেছি তোমায় এঁকে।

নারীর সাথে আমার নাড়ের বাঁধন

 ওরা গোরু খাসি মুরগীর মাংস খায় না

খায় ওরা নারীর দেহ!

ওরা মানুষ নয় লেজ ছাড়া কুকুর 

নেই সন্দেহ। 

ওরা খেয়েছে মা, খেয়েছে বোন 

খেয়েছে নারী জাতি

ওরা খেয়েছে মনুষ্যত্ব! 

ওরা মানুষ নয় লেজ ছাড়া কুকুর 

নেই সন্দেহ। 

এই নারীর গর্ভে জন্ম আমার 

নারীর সাথে আমার নাড়ের বাঁধন, 

নারী আমার মা, নারী আমার বোন 

এই নারীর সাথে আমার জন্মান্তরের বাঁধন। 

আমি নারীর চরণতলে পেয়েছি বেহেস্ত। 

ওরা খায় নারীর দেহ 

খায় না গোরু খাসি মুরগীর মাংস! 

ওরা মানুষ নয় লেজ ছাড়া কুকুর 

নেই সন্দেহ।

মানুষের মুখোশ পরে 

লেজ ছাড়া কুকুরগুলো ঘুরে এই শহরে, 

নারী তুমি চোখ কান খোলা রেখে পথ চলিও 

ধর্ষকগুলো দেখতে মানুষেরই মতো। 

নারী তুমি মা, নারী তুমি বোন 

তোমার সেবায় হয় যেন আমার মরণ। 

ওরা গোরু খাসি মুরগীর মাংস খায় না

খায় ওরা নারীর দেহ!

ওরা মানুষ নয় লেজ ছাড়া কুকুর 

নেই সন্দেহ।

নিখুঁত ভালোবাসা

 আমি ঘৃণা করি ঐ মেয়েটিকে  যারে দিয়েছিলাম আমার নিখুঁত ভালোবাসা,  আমি ঘৃণা করি ঐ মেয়েটিকে  যার অভিনয় আর মিথ্যে প্রতিশ্রুতিকে ভেবেছিলাম ভালোবাস...