বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫

অধমের মধ্যেই তুমি

 তুমি আমার এশক তামান্না

তোমাতে মাতাল আমি

দুনিয়ার নেশা তুচ্ছ

তুমি আমার কেন্দ্রবিন্দু

অধমের মধ্যেই তুমি।


অধম আর কত

অন্ধকারের পিছে

এবার আসো তুমি

আলোর সন্ধানে বসি

ঘুম ভাঙুক তোমার।


তোমার এশক ছাড়া

তোমার রূপ ছাড়া

তোমাকে ছাড়া

সব নেশা তুচ্ছ

বিশ্ব মাতাল অধম।


অধম মেহেদি রঙের মতো

রঙিন হোক এশক

সাজিয়ে তোলো জীবন

যেভাবে সেজেছে হাত

ইদ আসবে জীবনে।


অধম সৃষ্টি হয়ে

সৃষ্টির পিছে ক্যান ছোটাছুটি

আমি তো বিপদ দেখি তাতে

তুমি কি আনন্দ চাও না

ওরা হারিয়ে গেছে আঁধারে।


অধম যে এশক

যে রূপ

যে শরাব

যে আমি

সে তুমি।


গভীররাত তোমাকে ডাকে

ভোরের বাতাস মাখতে গায়ে

হও সবুজ বৃক্ষের মতো

অধম আমাকে ডাকো

ঠিক পাখিদের মতো সুরে সুরে।


এশকে তুমি আমার হও

জ্বালিয়ে ফেলো নিজেকে

অধম কসম বলছি

পুড়ে যাওয়া মানুষ মরে না

তুমি কি আলো হতে চাও না।


তামান্নাকে ছাড়া শূন্য

তামান্নাই সব

অথচ অধম তুমি সাজলে না

তামান্নাতে ডুবলে না

হায় দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা।


অধমের মধ্যেই তুমি

এই আয়োজন তুমি

গান কবিতা তুমি

তোমাকে পাঠ করাই ধর্ম

তোমার স্বভাবই কর্ম।


অধম রুমিকে আমি

ঘুরতে দেখেছি পুড়তে দেখেছি

মরতে দেখিনি

যারা পুড়ে হায়

তারা আর মরে না।


অধম শান্ত নদী হও

গভীর জলের মুক্ত হও

এসো আমরা আলোর

সন্ধানে বসি

এটাই তোমার মুক্তির পথ।

রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫

শেষ ঘুম জীবন

 ঘুমানোর আগে ওরে অধম

গায়ে মাখিস গোলাপ চন্দন

হতে পারে এটাই তোর

শেষ ঘুম জীবন!

কি বলব আর পৃথিবীর কথা

স্বার্থের জন্য বেচে মাথা

সবার আছে নীতি বাক্য

নাই সত্য সাধন!

মনকে একদিন জিজ্ঞেস করি

কি সুখ কি দুঃখ তোমারই

সে বলল সবই ফাঁকি

বন্ধ হলে দুটি নয়ন!

তাই গোলাপ চন্দন মেখে

সকল কিছু রেখে

থাকিস অধম জেগে

হবে বাসর মিলন!

ভোরে নিস বিদায়

ঘুমের চেয়ে উত্তম বন্ধুর দিদার

হতে পারে এটাই তোর

শেষ ঘুম জীবন!

শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫

নয়নে দেখিনাই দেখিয়াছি হৃদয়ে

 কাহারে জানি আমি ভালোবাসিয়াছি

কাহারে জানি হৃদয়ে রাখিয়াছি,

তাহারে আমি নয়নে দেখিনাই

দেখিয়াছি হৃদয়ে।

গভীর রাত হইলে সে আসিয়া

মোরে জাগাইয়া রাখে,

মোর ঘুম ভাঙ্গাইয়া

সে ঘুমাইয়া পড়ে এই বুকে।

তাহারে ধরিতে পারিনাই

তাহারে কইতে পারিনাই

ভালোবাসিয়াছি কত যে,

দেখিয়াছি হৃদয়ে।

সকলে যখন ঘুমাইয়া বিলীন হইয়া থাকে

তখন সে আসে মোর আঁধার ঘরে,

সে মোরে ডাকিয়া কয় ঠাঁই চাই তোমার বুকে

আলো লও আমা হতে।

এমন কেমন ভালোবাসা

আমি বাসিয়াছি তাহারে,

নয়নে দেখিনাই দেখিয়াছি হৃদয়ে।

সে কত্ত দূরে, ঐ আকাশের চাঁদ

ঐ নক্ষত্রগুলোও ততটা দূরে নাই

তাহারে আমি এই বুকে পাই,

সে নাই নাই, পাইয়াও তাহারে হারাই!

তাহারে আমি নয়নে দেখিনাই

দেখিয়াছি হৃদয়ে।

বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫

আমারে ক্যান মানুষ বানালে!

 ||খোদা আমারে মানুষ না বানিয়ে পরমাণু অস্ত্র বা ক্ষেপণাস্ত্র বানাতে, আর নিক্ষেপ করতে ইজরায়েলের বুকে। খোদা মানুষ হয়ে তো তোমার কোনো কাজে আসলাম না, পরমাণু অস্ত্র বা ক্ষেপণাস্ত্র হলে তো ফিলিস্তিনি কিংবা গাজাবাসির উপকারে আসতাম, ওদের হয়ে কথা বলতাম।

বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫

অভিশাপ দিলাম

 —১ 

হিটলার ফিরে আসুক, থরথর করে কাঁপুক ইহুদি, কাঁপুক ইজরায়েল! 


—২ 

শুয়োরের নাম নিতে দ্বিধা করি না, কিন্তু ইজরায়েল নামটা নিলেই ঘৃণা লাগে। 


—৩ 

বিশ্ব মুসলিম নেতাদের প্রতি ঘৃণা তারা কেনো ঐক্য নেই, কিসের শান্তির আসা করে! 


—৪ 

জাতিসংঘে আছে যারা আমেরিকার গোলাম তারা, নামেই বিশ্ব শান্তি রক্ষা! 


—৫ 

ইজরায়েল এমনভাবে ধ্বংস হোক যেন মহা প্লাবন দেখিলাম।

তোমার কাছে বিচার দিলাম

 খোদা তুমি কি পাথর হয়ে গেছো

খোদা তুমি কি দেখো না এই আর্তনাদ?

বাচ্চা শিশুদের চিৎকার, ফিলিস্তিনিদের কান্না

আর কত প্রাণ ঝরিলে ভাঙিবে তোমার ঘুম

পাঠাবে তুমি আবাবিল।

খোদা হয়তো ফিলিস্তিনিকে একবারে শেষ করো

বা শেষ করো গাজাকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে,

আর যেন না ঝরে কোনো নিস্পাপ শিশুর প্রাণ।

খোদা এই পবিত্র ভোরে

দুই হাত তুলে, তোমার কাছে বিচার দিলাম

ঐ অত্যাচারীদেরকে তুমি ধ্বংস করো

রক্ষা করো খোদা মুসলিমদের।

মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫

বিধি

বিশ্ব জুড়ে জ্বলছে আগুন দাবানলে

জ্বলছে আগুন মানুষের হৃদয়ে

খেলছো খেলা এই কোন আগুন নিয়ে

বিধি সৃষ্টির সঙ্গে!

কারো ঘর পুড়ে ছাই হয়েছে

আবার কারো পুড়ে নাই কিছু হৃদয়ে

দাবানলে পুড়ে পশু পাখি কত কি মরে

খেলছো খেলা এই কোন আগুন নিয়ে

বিধি সৃষ্টির সঙ্গে!

জল ঢালিতে তোমার যদি এতোই লাগে কষ্ট

ধ্বংস করে দাও এই সৃষ্টি তুমি যে শ্রেষ্ঠ

তবে কেনো পুড়িয়ে বিধি দাও কষ্ট?

রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫

আমি সেই

আমি সেই অবহেলিত ফুল যে পড়ে থাকে ধূলিতে

প্রয়োজন শেষে হয়েছি ঠিকানা কারো পায়ের নিচে।

আমি সেই একাকী রাত্রি যার সঙ্গী হতে দ্বিধা করেছে আলো

হয়নি চাঁদ, হয়নি নক্ষত্র, বাসেনি কেউ ভালো।

আমি সেই ধূলিকণা ছিলাম কারো জুতোর তলে

আমি সেই অবহেলিত যার ঠিকানা হয়েছি ময়লার ডাস্টবিনে।

আমি সেই যে যুগে যুগে আসা অবহেলিত, ঘৃণিত, লাঞ্চিত

প্রিয় মানুষের অবহেলায় ব্যথিত।

নিখুঁত ভালোবাসা

 আমি ঘৃণা করি ঐ মেয়েটিকে  যারে দিয়েছিলাম আমার নিখুঁত ভালোবাসা,  আমি ঘৃণা করি ঐ মেয়েটিকে  যার অভিনয় আর মিথ্যে প্রতিশ্রুতিকে ভেবেছিলাম ভালোবাস...